Main Menu

নবীনগরে খেয়া পারাপারে আবারো দ্বিগুন ভাড়া উত্তোলন! দেখার কেউ নেই-

+100%-

মিঠু সূত্রধর পলাশ, নবীনগর প্রতিনিধি: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলা সদরের ‘মনতলা ঘাট থেকে সীতারামপুর’ ঘাট পর্যন্ত নৌকা পারাপারে আবারো ১০ টাকার স্থলে ২০ টাকা করে আদায় করছেন ইজারাদারের লোকজন। এর আগে গত বছর এই নৌঘাটে জেলা পরিষদ থেকে ‘মাশুল তালিকা’ টাঙানো হলেও প্রশাসনের কঠোর নির্দেশনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে গত এক মাস ধরে ১০টাকার পরিবর্তে ২০ টাকা করে আদায় করা হোচ্ছে। মনতলা নৌঘাটে জেলা পরিষদ থেকে টাঙানো ‘মাশুল তালিকা’ সেখানে বলা হয় কোনোভাবেই যেন একজন ব্যক্তির কাছ থেকে ১০ টাকা ও মটর সাইকেল জানবাহনে কাছ থেকে ৪০ টাকা ও গরু মহিস ১০টকার বেশি নৌকা ভাড়া আদায় করা না হয়। আর এ নিয়ে প্রায় প্রতিদিনই যাত্রীদের সঙ্গে ভাড়া আদায়কারীদের সাথে কথা কাটাকাটি সহ নানান সমস্যা হয়।
সরজমিনে ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সড়ক পথে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদরে যাতায়াতের জন্য হাজার হাজার মানুষ প্রতিদিন এই রাস্তাটি ব্যাবহার করে থাকে। তাছাড়াও উপজেলার উত্তরাঞ্চলের তিনটি ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষ এ খেয়াঘাট দিয়ে নবীনগর উপজেলা সদরে যাতায়াত করেন। কিন্তু খেয়াঘাটের ইজারাদারদের লোকজন গত কয়েক মাস যাবৎ যাত্রীদের কাছ থেকে জন প্রতি ১০ টাকার বদলে ২০ টাকা করে আদায় করছেন। পাশাপাশি মোটরসাইকেল পারাপারে ৪০ টাকা নেওয়ার নির্দেশনা থাকলেও, ইজারাদারের লোকজন প্রতি মোটরসাইকেলের ভাড়া ৭০থেকে১০০-টাকা পর্যন্ত করে আদায় করছেন।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ,অভিনব কায়দায় প্রথমে সীতারামপুর ঘাটে ইজারাদারের লোকজন জনপ্রতি ১০টাকা করে রাখে,পরে সামান্য একটু নদী পারাপারে জন্য ইজারাদারেরই লোকজনের ঘাটের নৌকা তে আবারো রাখা হয় আরো ১০ টাকা। এক সাথে ২০ টাকা নিলে মানুষ প্রতিবাদ করবে,সে জন্যই দুইবার নেয়া হয় টাকা।
নবীনগর সদরে প্রশাসনের চোখের সামনে দীর্ঘদিন ধরে এমন জুলুম অত্যাচার চললেও এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন বরাবরাই রহস্যজনক কারণে নীরব রয়েছেন। সাধারণ যাত্রীদের ধারণা আর্থিক ভাবে তাদের ম্যানেজ করেই হয়তো এসব করা হয়।
সূত্রে জানা যায়, বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় পত্র-পত্রিকা ও ফেসবুকে প্রচুর লেখালেখি হলে নিয়ম মাফিক কদিন সব ঠিকঠাক চলে,তারপরে কিছুদিন পর আবার শুরু হয় ডাবল ভাড়া উত্তোলন। ইজারাদারের লোকজন স্থানীয় ভাবে শক্তিশালি হওয়ায় এলাকার লোকজন ভয়ে এ বিষয়ে কথাই বলেন না।
এর প্রতিকার নিয়ে কয়েক বছরে অনেক বার সংশ্লিষ্ট ইজারদার, সুধীজন, বাজার কমিটির নেতৃবৃন্দের সঙ্গে জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার একাধিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে দেখা গেছে। বৈঠকে নবীনগরের উপজেলা বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত থাকেন। বৈঠকে সাধারণ জনগনের ভোগান্তি নিরসনে অনেক প্রদক্ষেপই গ্রহনের আলোচনা হয়।যা বাস্তবায় অনেক দূরে থেকে যায়। ইজারাদারের লোকজন আগের মতোই বেশি ভাড়া আদায় করে ।
এলাকাবাসীর অভিযোগ,  প্রশাসনের নাকের ডগায় প্রতিদিন সাধারণ মানুষের ওপর এতটা অত্যাচার হওয়ার পরও প্রশাসন কেন চুপ করে আছে? নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মাঝি জানান,(উদাহরনস্বরূপ) ১টাকার ডাক ১০টাকায় আনলে এবং ১০টাকার ডাক ৬০টকা বেচলে ওরাতো (ইজারাদার) অনিয়ম করবেই।
এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শফিকুল আলম এমএসসি জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ এর সাংসদ এবাদুল করিম বুলবুল ভাই ও বর্তমান করোনা পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে ওই ঘাট খাস কালেকশন করার দায়ীত্ব দেওয়া হয়েছে। আমাদের মাশুল তালিকার বাইরে গেলে আমরা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। প্রয়োজনে তাদের তাদের ডাক বাতিল করে দেয়া হবে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ নবীনগরের সংসদ সদস্য মো. এবাদুল করিম বুলবুল বলেন,কোন অবস্থাতেই ভাড়া বেশি নেওয়া যাবে না। সবাইকে জেলাপরিষদের টানানো ‘মাশুল তালিকা’ অনুসরন করার কথা বলেছেন তিনি।






Shares