নবীনগরে কৃষকের সম্পত্তি দখলের পায়তারা ;জোরপূর্বক ঘরের ভিটি তৈরী
মিঠু সূত্রধর পলাশ,নবীনগর প্রতিনিধি:: ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার শীবপুর ইউনিয়নের মহেশপুর গ্রামের গনি মিয়ার ছেলে প্রভাবশালী হোসেন মিয়া জোরপূর্বক এক অসহায় কৃষক পরিবারের বৈধ ক্রয়কৃত সম্পত্তি জোরপূর্বক দখলের চেষ্ঠায় ঘরের ভিটি তৈরী করে ফেলেছে। এ সময় বাধাঁ দিতে গেলে ওই কৃষক পরিবাররেক হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে হোসেন মিয়াকে প্রধান আসামী করে ৭ জনের বিরুদ্ধে ওই কৃষক কাজী আবদুল আহাদ মিয়া নবীনগর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
বৃহসপতিবার (০৫/১২)এলাকা সরজমিন ও বিভিন্ন সুত্র থেকে জানা যায়, মহেশপুর মৌজাস্থিত সেঃমেঃ ২০১১ দাগে ২৬ শতাংশ বশত ভিটি ও ২০১২ দাগে ৬ শতাংশ নালসহ ৩১ শতাংশ জমি ১৯৮২ সালে মৃত আবদুল গনি মিয়ার স্ত্রী মিরাশেরনেছা নিকট থেকে কাজী আবদুল আহাদ ক্রয় করেন। ক্রয়ের পর ওই জমিতে ফসলাদী চাষাবাদ করে আসছেন তিনি। সম্প্রতি তারই ওয়ারিশ দাবী করে হোসেন মিয়া গংরা আদালতে দুইটি মামলা দায়ের করেন। মামলা দুইটি বিচারধীন থাকবস্থায় গত ২৮ নভেম্বর সকালে দলবল নিয়ে হোসেন মিয়া উক্ত জায়গায় চাষকৃত সাকসবজি ও ফলজ গাছ কেটে ফেলে এবং ঘর তৈরীর জন্য ভিটি বানায়।
এ ব্যাপারে কৃষক কাজী আবদুল আহাদ বলেন,আমি ৮২সালে এ সম্পত্তির ক্রয়সুত্রে বৈধ মালিক হয়েছি এবং দখলে থেকে চাষাবাদসহ ব্যবহার করে আসছি। এতদিন তারা এ সম্পত্তি দাবী করতে আসেনি সম্প্রতি মিরাশেরনেছা মারা যাওয়ার পর আমাকে অসহায় পেয়ে প্রভাব দেখিয়ে ওই জমি দখলের চেষ্ঠা করে আসছে।
এ ব্যাপারে হোসেন মিয়ার সাথে যোগাযোগ করা যায়নি, তবে ওই স্থানে উপস্থিত হোসেন মিয়ার নাতিন পরিচয়দান কারি রিনা বেগম বলেন,এ সম্পত্তি আমাদের বাপ দাদাদের সম্পত্তি, আহাদ মিয়া জ্বালিয়াতি করে দলিল কারিয়ে নেন।
এ ব্যাপারে গ্রামের বর্তমান মেম্বার কালু মিয়া বলেন,আমরা জানি আহাদ এ সম্পত্তির বৈধ মালিক ।
এ ব্যাপারে সাবেক চেয়ারম্যান সৈকত ওসমান বলেন,আহাদ মিয়া এ সম্পত্তির বৈধ মালিক, ওয়ারিশ দাবীদাররা এ গ্রামে থাকে না, অনেক পূর্বেই তাদের সকল সম্পত্তি বিক্রী করে এ গ্রাম থেকে তারা ছেড়ে চলে যায়।
শীবপুর পুলিশ ফাঁড়ির এস আই মশিউর রহমান বলেন, ঘটনাস্থল আমি পরিদর্শন করেছি,উভয়কে বলেছি যেহেতু এ সম্পত্তি নিয়ে মামলা চলমান সেক্ষেত্রে মামলার চুড়ান্ত সিদান্ত না অসা পর্যন্ত আইন শৃংখলা বিনষ্ট করা যাবে না।