নবীনগরে কিশোরী ধর্ষণের অভিযোগে একজন গ্রেফতার
মিঠু সূত্রধর পলাশ, নবীনগর প্রতিনিধি,রান্নার জ্বালানী হিসেবে ব্যবহার করার জন্য স্কুল মাঠে ঝরে পরা পাতা কুঁড়াতে গিয়ে এক কিশোরী ধর্ষণের শিকার হয়েছে, এমন অভিযোগ ঐ স্কুলের দপ্তরির বিরুদ্ধে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার বড়াইল উওর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাদের উপর এ ঘটনা ঘটে। অভিযোগ পেয়ে রাতেই অভিযান চালিয়ে ধর্ষকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
জানা যায়, বড়াইল উওর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশের বাড়ির এক কিশোরী গত বৃহস্পতিবার(৫/৩/২০) বিকেলে ওই বিদ্যালয়ের মাঠে পরে থাকা পাতা কুঁড়াচ্ছিল ,তখন ওই বিদ্যালয়ের দপ্তরী, বড়াইল গ্রামের মৃত-ফাজিল মিয়ার ছেলে রবিউল্লাহ তাকে বিদ্যালয়ের ভিতরের পরে থাকা পাতা নিয়ে যেতে বলে। তখন সে ভিতরে যেতেই তার মুখে উড়না পেচিয়ে তাকে জোর পূর্বক বিদ্যালয়ের ছাদের উপর নিয়ে ধর্ষন করে। নির্যাতিতার মা জানান, আমার মেয়ে একটু সহজ সরল,নিযার্তনের পর আউলা ঝাউলা চুল নিয়ে কাঁদতে কাঁদতে বাড়িতে এসে আমার কাছে সব ঘটনা খুলে বলে । আমরা গরীব, সে কারনে লোকলজ্জার ভয়ে কাউকে প্রথমে কিছু বলি নাই। পরদিন রাত ২টার সময় রবিউলের মা স্থানীয় মেম্বার লিয়াকত মিয়াকে নিয়ে এই ঘটনার জন্য আমার কাছে মাফ চাইতে আসলে আমি তাকে ফিরিয়ে দেয়। ঘটনার দুই দিন পর মেয়ে অসুস্থ হয়ে গেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে ভর্তি করি। পরে এ ঘটনা জানাজানি হলে বড়াইল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাকির হোসেন, লিয়াকত মেম্বার, জলিল মেম্বার বিষয়টি মিমাংসা করে দেওয়ার জন্য সময় নিয়েও কোন সমাধান দেয়নি। এ ঘটনা ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককেও জানানো হয়েছিল। আমরা গরীব বলে কেউ এ বিষয়টি গুরুত্ব দেয়নি। পরে বাধ্য হয়ে আইনের আশ্রয় নিয়েছি।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেন বলেন, বিষয়টি জানার পর স্থানীয় কয়েকজনকে বলেছিলাম সামাজিকভাবে মিমাংসা করার জন্য। পরে আমাকে আর কেউ কিছু জানায়নি। এ ঘটনায় নির্যাতিতার মা পিয়ারা বেগম বাদী হয়ে নবীনগর থানায় আজ(১২/৩/২০) মামলা দায়ের করেছেন। নবীনগর থানার এস আই জসিমউদ্দিন বলেন, বুধবার রাতে অভিযোগ জানার পরপরই ওসি স্যারের নির্দেশে অভিযান চালিয়ে রাত ২টায় বড়াইল গ্রাম থেকে অভিযুক্ত রবিউল্লাহকে গ্রেফতার করা হয়েছে,ভিকটিমকে মেডিকেল পরিক্ষার জন্য জেলা সদর হাসপাতালে ও আসামীকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।