নবীনগরের বিতর্কিত শিল্পপতি রিপন মুন্সি অবশেষে কারাগারে

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের বহুল আলোচিত ও বিতর্কিত শিল্পপতি, স্পাইডার গ্রুপের কর্ণধার রিপন মুন্সিকে অবশেষে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। রাজধানীর বাড্ডা থানার এক মামলায় মঙ্গলবার রাতে তাকে উত্তরার স্পাইডার গ্রুপের অফিস থেকে গোয়েন্দা পুলিশ গ্রেপ্তার করে। পরে বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
রিপন মুন্সির গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার কাইতলা উত্তর ইউনিয়নের নারুই ব্রাহ্মণহাতায়। তবে তিনি গার্মেন্টস ব্যবসায়ী হিসেবে ঢাকায় বসবাস করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের (মতিঝিল) উপপরিদর্শক (এসআই) মো. লুৎফুর রহমান এ তথ্য সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ঢাকার বাড্ডা থানায় আজিজুল হক নামের এক গার্মেন্টস শ্রমিক বাদী হয়ে রিপন মুন্সিকে ২০ নম্বর আসামি করে চলতি বছরের ৩ মার্চ মামলাটি করেন।
গোয়েন্দা পুলিশের এ কর্মকর্তা আরো জানান, ঢাকায় একটি গার্মেন্টসে কর্মরত ব্রাহ্মণবাড়িয়ারই বাসিন্দা, মামলার বাদী আজিজুল হক তার মামলার এজহারে অভিযোগ করেন, গত বছরের ১৮ জুলাই বাড্ডার লিংক রোডে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে অংশ নেওয়া ছাত্রজনতা জমায়েত হয়ে পিকেটিং করছিলেন।
সেসময় মামলার এজহারনামীয় ২০ নম্বর আসামি রিপন মুন্সিসহ প্রায় ৪০ জনের একটি সন্ত্রাসী দল ছাত্রজনতাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ওইদিন বিকেল ৪টার দিকে এলোপাতাড়ি গুলি করে। গুলিতে পিকেটিংয়ে অংশ নেওয়া মামলার বাদী আজিজুল হকের দুটো চোখ ক্ষতবিক্ষত হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে ইসলামী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর তিনি সুস্থ হয়ে ঘটনার প্রায় ৮ মাস পর গত মার্চ মাসে বাদী হয়ে বাড্ডা থানায় মামলাটি করেন।
বাড্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম বলেন, মামলাটি বাড্ডা থানায় দায়ের হওয়ার পর এটির তদন্তভার মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
এ মামলার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করেছেন এলাকাবাসী।
প্রসঙ্গত, ৫ আগস্টের আগেই শিল্পপতি রিমন মুন্সি ‘ভূমিদস্যু ও এলাকার মূর্তিমান আতঙ্ক’ হিসেবে বিভিন্ন গণমাধ্যমের শিরোনাম হন।































