নবীনগরের আলোচিত এই এক লাখ ত্রিশ হাজার টাকা কিসের?

ডেস্ক :: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে এক অন্তঃসত্বা গৃহবধূর মৃত্যুর পর একলাখ ত্রিশ হাজার টাকা নিয়েছে গৃহবধূর পরিবার। এ টাকা কিসের ? সংবাদকর্মীদের এমন প্রশ্ন ছিল বড়িকান্দি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আনোয়ার পারভেজ হারুদের কাছে। উত্তর দিলেন, বিয়ের সময় স্বর্নলংকার ও নগদ ত্রিশ হাজার টাকা দিয়ে ছিল গৃহবধূর পরিবার, সেই টাকাই ফেরত দেয়া হয়েছে সালিশী বৈঠকের রায়ে। এখন প্রশ্ন হল, স্বাভাবিক মৃত্যু হলে সালিশ হল কেন? তখন তিনি জানালেন, তাদের মধ্যে টাকা পয়সার লেনদেন ছিল, সেটাই ফেরত দেয়া হয়েছে। দু পক্ষ মিলে বৈঠকে বসে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আমি শেষ পর্যায়ে বৈঠকে গিয়েছিলাম।
তবে এলাকাবাসী ও প্রতিবেশীদের দাবি ভিন্ন। তাদের তথ্য বলছে, গত এক বছর পূর্বে বড়িকান্দি ইউনিয়নের স্বপন দেবনাথের সাথে পাশের উপজেলা বাঞ্ছারামপুরের রুপসদী গ্রামের হিরু দেব নাথে’র মেয়ে পুতুল দেবনাথের বিয়ে হয়। স্বপন দেবনাথের এটি ছিল দ্বিতীয় বিয়ে। প্রথম স্ত্রীর রেখে যাওয়া দুই সন্তান নিয়ে পুতুলের সংসারে কলহ সৃষ্টি হয়। এই নিয়ে ঘটনার দিনও অন্তসত্বা স্ত্রী পুতুল এর সাথে ঝগড়া হয়। ঝগড়ার এক পর্যায়ে স্বপন পুতুলের পেটে লাথি মারে। সাথে সাথে পুতুল অজ্ঞান হলে তাকে দ্রুত স্থানীয় প্রাইভেট হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। ঢাকা মেডিকেল নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয় ।
তবে সালিশকারী স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. গোলাপ মিয়া এ তথ্য মানতে নারাজ। তার দাবি এটি স্বাভাবিক মৃত্যু।তিনি বলেন, তাদের মাঝে পারিবারিক কলহ ছিল এই নিয়ে তাদের মাঝে কয়েকদিন আগে ঝগড়া হয়। তবে ওই দিন তার প্রসবের স্বাভাবিক ব্যাথা উঠলে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে তাকে ঢাকা পাঠানো হয় সেখান থেকে ফেরত আসার সময় তার মৃত্যু হয়। মেয়ের পরিবারের দাবীর প্রেক্ষিতে বিয়ের সময়ের লেনদেনের বিষয়টি বিবেচনায় এনে এই টাকা রায় করা হয়।
এ ব্যাপারে নবীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আসলাম সিকদার দিয়েছেন গৎবাঁধা জবাব, এ ঘটনায় কোন লিখিত অভিযোগ আমার কাছে আসেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত স্বাপেক্ষে আইনগত ব্যাবস্থা নেয়া হবে।
এখন সুষ্ঠ তদন্তই পারে এ ঘটনার জট খুলতে। তাই প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিষয়টি তদন্তের দাবি স্থানীয়দের।































