একটি রাস্তা স্বপ্ন পূরণ করবে হাজারো কৃষক, শ্রমিক, জনতার



মিঠু সূত্রধর পলাশ,নবীনগর প্রতিনিধি:একটি রাস্তার অভাবে হাজারো কৃষক, শ্রমিক, জনতার কৃষিকাজে ব্যাঘাত হচ্ছে যুগের পর যুগ ধরে। উৎপাদিত পণ্য যথাসময়ে বাজারজাত করতে না পারা ও নদীর তীরবর্তী চারটি গ্রামের পাশে বহমান বেশ কয়েক টি প্রাকৃতিক মাছের জলমহাল থাকলেও যাতায়াতের অপ্রতুলতার কারণে প্রকৃত মূল্য পায় না। কৃষক তাদের উৎপাদিত কৃষি পণ্যের যথাযথ মূল্য না পেয়ে বারবার লোকসানের সম্মুখীন হচ্ছেন। ফলে কৃষি নিভর এলাকার কৃষকরা কৃষি কাজে দিন দিন আগ্রহ হারাচ্ছেন। পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর দুঃখ দূর্দশার কথা বিবেচনা করে অবশেষে স্থানীয় সংসদ সদস্য মোহাম্মদ এবাদুল করিম বুলবুলের হস্তক্ষেপে সীমাহীন দুর্ভোগ থেকে রেহাই মিলতে যাচ্ছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার উরখুলিয়া, মনিপুর, রাজাপুর, ও ভৈরবনগর গ্রামবাসীর।
পাঁচ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের নতুন একটি সড়ক নির্মাণের মধ্য দিয়ে অবহেলিত চার গ্রামের মানুষের দীর্ঘদিনের দুর্ভোগ লাঘব হতে যাচ্ছে। এর ফলে কৃষিক্ষেত্রেও নতুন দিগন্তের দ্বার উন্মোচিত হবে। পাশাপাশি সরকারী রাজস্ব প্রাপ্ত জলমহাল গুলো থেকেও সরকার আরো বেশি পরিমাণ রাজস্ব আদায় করতে পারবে।
জানা গেছে, চার গ্রামের বেশিরভাগ মানুষেরই প্রধান পেশা কৃষি। এই ফসল দিয়েই চলে ওই গ্রামের মানুষের জীবন। যাতায়াত ব্যবস্থা না থাকায় ক্ষতিগ্রস্ত হতো কৃষকরা। সেজন্য এই পাচ কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণ দীর্ঘদিনের দাবি ছিলো এলাকাবাসীর। বিষয়টি নবনির্বাচিত বিদ্যাকুট ইউপি চেয়ারম্যান জাকারুল হক ও সমাজ সেবক আব্দুল আওয়াল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ নবীনগর আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য এবাদুল করিম বুলবুল এর নজরে আনেন। এরই প্রেক্ষিতে এমপি এই সড়কটি নির্মাণে ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ দেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যাকুট থেকে এই রাস্তাটি চারটি গ্রাম হয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর নবীনগর উপজেলায় মিলিত হবে। সড়কটি প্রায় ১০ থেকে ১৫ ফুট উঁচু ও ২০ ফুট প্রশস্ত হবে। এ দিয়ে যে কোন পরিবহন চলাচল করতে পারবে। কৃষিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখাসহ সড়কটি ব্যবহার করে বিল থেকে সু-স্বাদু মাছ আহরণ করে আমিষের ঘাটতিও মিটবে গ্রামবাসীর।
বিশিষ্ট সমাজ সেবক আব্দুল আওয়াল বলেন, এই রাস্তাটি নির্মাণের জন্য এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি ছিলো। অবশেষে এমপি মহোদয়ের একান্ত চেষ্টায় রাস্তাটি হতে যাচ্ছে। জেলা-উপজেলার সাথে সরাসরি সংযোগ স্থাপন হবে।
নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যান জাকারুল হক বলেন,আমার মূল লক্ষ হচ্ছে এই চাঁর গ্রামের রাস্তাটি উন্নয়ন করা। মাননীয় সংসদ সদস্য এবাদুল করিম বুলবুল বলেছেন এই রাস্তাটির কাজ শুরু করে দিতে বর্তমানে আমি আমার নিজস্ব অর্থায়ন থেকে রাস্তাটির কাজ শুরু করেছি।