Main Menu

ইউপি নির্বাচন :: নবীনগর ইউপি নির্বাচন; দুই যুগ পর বড়াইলের চেয়ারম্যান জাকির হোসেন

+100%-
zakir barailআমিনুল ইসলাম, প্রতিনিধি:: একটি প্রবাদ আছে দাঁত থাকতে দাঁতের মর্যাদা দিতে জানি না।ঠিক তেমনি গুষ্টিগত জোর,পেশীশক্তি প্রয়োগ,নিজের দোষ জানা সত্তেও অন্যকে দোষারোপ করা। কিন্তু আমরা নিজেও জানি না যে প্রতিশ্রুতি রাখতে গিয়ে কি পাচ্ছি আর কি হারাচ্ছি?নিজের মনকে শান্ত করার জন্য কত কিছু করে যাচ্ছি আমরা।

ঠিক তেমনি এক ঘটনা জানা যায়,নবীনগর উপজেলার বড়াইলে দীর্ঘ ২২ বছর পর চেয়ারম্যানের দেখা পেল বড়াইলবাসী।খুঁশিতে আর উৎসবমুখর পরিবেশ প্রত্যেকটি চায়ের দোকানে শুধু একটাই আলাপ দীর্ঘ সময়পর বড়াইলে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হল।

নির্বাচিত চেয়ারম্যান মোঃ জাকির হোসেন দলীয় থেকে মনোনয়ন পেয়ে তিনি ২৪৪৮ ভোটে ব্যবধানে নির্বাচিত হন।

এর পূর্বে সর্বপ্রথম সাদেকপুর ইউনিয়ন থেকে নির্বাচিত হন নাজির আলী ভূইয়া। যদিও তখন বড়াইল ইউনিয়ন সদর উপজেলার সাদেকপুর ইউনিয়নে অবস্থান ছিল। তারপরও ২য় বার মলাই মিয়া সরকার ৩য় বার আব্দুল হেকিম সাহেব ও ৪র্থ বার শহিদুল হক অরুন সাহেব ইউপি নির্বাচন করেন।

জাকির হোসেন ১৯৬৬ সালে ব্রাক্ষণবাড়িয়া সরকারি কলেজে ছাত্র রাজনৈতিকে সক্রিয় ছিলেন। ১৯৯৬ সালে নবীনগর উপজেলা যুবলীগের সম্মানিত সদস্য হন। তারপরও বড়াইল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের দুইবার সভাপতি হন তিনি। বর্তমান ও তিনি সভাপতির দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন।

তারপর ১৯৯৭ সাল প্রথম ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তার নিজ গ্রাম বড়াইল থেকে তিন জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এরপর সামান্য ভোট পরাজিত হন। ২০১১ সালের নির্বাচনে দ্বিতীয় হন।২০১৬ সালের নির্বাচনে পূর্বের মাশুল যাতে দিতে না নয়। সে জন্য প্রথম গ্রামের জনগণ ঐক্যবন্ধ হয়ে একচেটিয়াভাবে সমর্থন করাই জয়লাভ করে জাকির হোসেন। শুধু বড়াইল গ্রাম নয় গুটা ইউনিয়ন ও আশপাশের মানুষের সহযোগীতায় এত বড় বিজয় অর্জন করা সম্ভব হয়েছে বলে তার নেতাকর্মীরা জানান।

এই প্রথম দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হওয়ায় পাগলা নদীর তীরে বড়াইল গ্রামে বাতাস লেগেছে নৌকার বৈঠায়।শনিবার ২৩ শে এপ্রিল তৃতীয় ধাপে নবীনগরে ৯ টি ইউনিয়নে ইউপি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।

নির্বাচিত চেয়ারম্যান জাকির হোসেন বলেন,এ বিজয় আমার নয় এ বিজয় পুরো বড়াইল গ্রামবাসীর।তাদের দীর্ঘ ২২ বছরের স্বপ্ন আজ সফল হয়েছে।আমার জীবনের দীর্ঘ দিনের আশা ছিল বড়াইল থেকে চেয়ারম্যান হওয়া।যেটা আজ গ্রামবাসী আমাকে উপহার দিয়েছে।তার জন্য আমার নেতাকর্মী ও গ্রামবাসীকে স্বাধুবাদ জানাই। তারা আমাকে সম্মান করে নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে বিপুল ভোটে জয় করার জন্য।

তিনি আরও বলেন,আমার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি হিসেবে বড়াইল বাজার থেকে পোষ্ট অফিস হয়ে ফকির বাড়ির পর্যন্ত রাস্তাটি সংস্কার করা।তারপর ধাপে ধাপে এলাকার ছোট বড় রাস্টাগুলো সংস্কার করবো।তার জন্য গ্রামবাসীর কাছে দোয়া চাই,সকলের সহযোগীতায় পেলে আমার স্বপ্নগুলো বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে।






Shares