নবীনগরে হত্যা মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান কবির আহামেদ গ্রেপ্তার




জানা যায়, নবীনগর উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান ও থানাকান্দি গ্রামের কাউসার মোল্লা সর্দারের মাঝে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে পূর্ব বিরোধের জের ধরে, গত ১২ এপ্রিল এক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের সময় মোবারক মিয়ার পা কেটে হাতে নিয়ে কাউসার মোল্লার লোকজন জয় বাংলা শ্লোগান দিয়ে গ্রামে আনন্দ মিছিল করে। গুরুতর আহত মোবারক চিকিৎসাধীন অবস্থায় চারদিন পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যায়। মারা যাওয়ার আগে তাকে কোপানোর সাথে জড়িত থাকা কয়েকজনের নাম প্রকাশ করে গেছেন মোবারক। তারা হচ্ছেন, থানাকান্দি হাতবাড়ি গ্রামের সিরাজের ছেলে খোকন,হাজির হাটি গ্রামের মাইনুদ্দিনের ছেলে রুমান, জিল্লুরের ছেলে শাহিন, মালির ছেলে জাবেদ। আরো কয়েকজন ছিলো তাদের চিনতে পারেনি বলে সে জানায়। মোবাইলে ধারন করা মোবারকের এই বক্তব্যর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে নবীনগর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন, ওই মামলায় চেয়ারম্যান কবির আহমেদ কে আসামী করা না হলেও, এই ঘটনার ছয় দিন পর নিহতের চাচাতো ভাই চাঁন মিয়া বাদী হয়ে এ হত্যা মামলায় পার্শ্ববর্তী বীরগাঁও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগ নেতা কবির আহমেদকে ‘প্রধান আসামি’ করে ১৫২ জনের বিরুদ্ধে নবীনগর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। আলোচিত এ মামলায় বিবাদমান দুই গ্রুপের একটি গ্রুপের দলনতো কাউছার মোল্লাকে ২ নম্বর আসামি করা হয়েছে। মোবারকের কাটা পায়ের অংশ নিয়ে জয় বাংলা শ্লোগান দেওয়া মাইনুউদ্দিনের ছেলে রুমানকে এখনো গ্রেপ্তার হয়নি।
(পরের সংবাদ) শালগাঁওে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল নির্মাণ »