Main Menu

ভারতে শিগগিরই স্টারলিংকের স্যাটেলাইট ইন্টারনেট চালু হচ্ছে

+100%-

প্রতিবেশি দেশ ভারতে শিগগিরই চালু হচ্ছে স্টারলিংকের স্যাটেলাইট ইন্টারনেট পরিষেবা। দেশটিতে এই সেবা দেওয়ার জন্য ইলন মাস্কের প্রতিষ্ঠান আবেদন করেছে স্পেস এক্স। লাইসেন্স দেওয়ার প্রক্রিয়াও শুরু করেছে দেশটির সরকার।

ভারতে স্যাটেলাইট ব্রডব্যান্ড পরিষেবা দিতে স্টারলিঙ্কের প্রয়োজন হবে গ্লোবাল মোবাইল পার্সোনাল কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট) (জিএমপিসিএস) সার্ভিস লাইসেন্স। ওয়ানওয়েব এবং জিও স্যাটেলাইট কমিউনিকেশনস লিমিটেড ইতিমধ্যেই এই লাইসেন্স পেয়েছে।

টাইমস অব ইন্ডিয়ার রিপোর্ট অনুযায়ী, চলতি মাসের শেষ দিকেই একটি উচ্চ-পর্যায়ের বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। সেখানেই জিএমপিসিএস পরিষেবা লাইসেন্সের জন্য স্টারিলিংকের প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করা হবে। প্রস্তাবটি সম্মতি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ইতিমধ্যেই কমার্শিয়াল ইন্টারনেট সার্ভিস অফার করছে স্টারলিংক। কিন্তু একজন উপভোক্তার পক্ষে তা ক্রয় করা খুবই ব্যয়বহুল। প্রসঙ্গত, ২০২১ সালে স্টারলিঙ্ক যখন ভারতে প্রি-বুকিং শুরু করেছিল, তখন তারা কানেকশন প্রতি ৯৯ মার্কিন ডলার চার্জ করছিল। যদিও তার মধ্যে সরঞ্জামের খরচ অন্তর্ভুক্ত ছিল না। তাই, সরঞ্জাম ও ইন্টারনেট প্ল্যান উভয় মিলিয়ে স্টারলিংকের স্যাটেলাইট ব্রডব্যান্ডের খরচ অনেকটাই হয়ে যায়। অন্তত, বাজার-চলতি ফাইবার ব্রডব্যান্ড কানেকশনগুলোর থেকে অনেকটাই বেশি।

তবে ভারতে পরিষেবা শুরু করতে জিএমপিসিএস লাইসেন্সের চেয়েও আরও বেশি কিছু প্রয়োজন স্টারলিংকের। আর সেই প্রক্রিয়ার স্রেফ শুরুটা হতে পারে জিএমপিসিএস লাইসেন্স দিয়ে। এরপরে সংস্থাটি বিভিন্ন সরকারি শাখা থেকে অনুমোদন পেতে হবে। শুধু তাই নয়, ডিপার্টমেন্ট অব স্পেস থেকেও সম্মতি নিতে হবে স্টারলিংককে। যথাযথ লাইসেন্স এবং অনুমতি না থাকার ফলেই স্টারলিংককে ভারতের টেলিকম দফতর উপভোক্তাদের প্রি-বুকিংয়ের অর্থ ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেয়। সেই নির্দেশ মেনে ইলন মাস্কের স্যাটেলাইট ব্রডব্যান্ড কোম্পানিটি তার কাস্টমারদের প্রি-বুকিংয়ের টাকাও ফেরত দেয়। তারপর থেকে প্রায় দেড় বছররেও বেশি সময় অতিক্রান্ত হতে চলল, ভারতে স্টারলিংকের স্যাটেলাইট ইন্টারনেট পরিষেবা দেওয়ার বিষয়ে কোনও অগ্রগতি হয়নি। এবার শোনা গেল লাইসেন্সিং প্রক্রিয়া নতুন করে শুরু করেছে স্টারলিংক তথা স্পেস এক্স।