তিতাসের ব্রেক ফেল, আউটারে থামল ট্রেন
যাত্রা বিরতি দেয়ার আগে ‘ব্রেক ফেল’ করে তিতাস কমিউটার ট্রেন। এতে প্ল্যাটফর্মে না থেমে প্রায় দুইশ মিটার দূরে গিয়ে থামে ট্রেনটি। শুক্রবার (১১ আগস্ট) দুপুরে নরসিংদী রেল স্টেশনে এ ঘটনা ঘটে।
নরসিংদী রেল স্টেশনে গিয়ে জানা যায়, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা ব্রাহ্মণবাড়িয়াগামী তিতাস কমিউটার ট্রেন দুপুর ১২টা ১০ মিনিটে নরসিংদীতে পৌঁছায়। কিন্তু দ্রুত গতিতে থাকা ট্রেনটি প্ল্যাটফর্মে না থেমে সামনে চলে যায়। এক পর্যায়ে স্টেশনের প্ল্যাটফর্ম থেকে প্রায় দুই শ মিটার দূরে গিয়ে ট্রেনটি থামে। পরে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে আবার উল্টো পথে প্ল্যাটফর্মে আসে।
ঢাকা থেকে নরসিংদীতে ট্রেনে আসা আমিনুল ইসলাম ফয়সাল নামে এক যাত্রী বলেন, ‘দুপুর ১২ টায় তিতাস ট্রেনটি নরসিংদীতে এসে পৌঁছার পর ট্রেনটি আর স্টেশনে না থেমে আরশীনগর রেলক্রসিং পার হয়ে থামে। প্রথম দিকে আমরা একটু ভয় পাই। পরে মনে হয়েছিল ট্রেনের ড্রাইভার মনে হয় ঘুমিয়ে গেছে। পরে ট্রেনটি দুইশত মিটার দূরে আউটারে থামার পর ট্রেন থেকে নেমে পড়ি। পরে জানতে পারি ট্রেনটি ব্রেক ফেল করেছে।’
রফিকুল ইসলাম নামে ট্রেনটির আরেক যাত্রী বলেন, ‘দুপুর ১২টার ট্রেনে রায়পুরা যাওয়ার জন্য দুই শিশু সন্তান ও স্ত্রী নিয়ে দুই নম্বর প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে ছিলাম। স্টেশনে মাইকিংয়ে বলা হচ্ছে প্ল্যাটফর্মে এসে ট্রেনটি থামবে। ট্রেন এলো, কিন্তু থামল আউটারে। পরে বৃষ্টিতে ভিজে ঠেলাঠেলি করে ট্রেনে উঠি।’
ট্রেনটির চালক আব্দুর রব বলেন, ‘এ স্টেশনের পাঁচ কিলোমিটার দূরে পলাশ উপজেলার জিনারদি থেকে ট্রেনটি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করি। কিন্তু ইঞ্জিনের ব্রেকে ক্রটি হওয়ায় স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে থামানোর জন্যও নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি।’
নরসিংদী রেল স্টেশনের সহকারী স্টেশন মাস্টার মো. ইমন খান জানান, স্টেশনের দুই নম্বর প্ল্যাটফর্মে ট্রেন থামার কথা। কিন্তু ব্রেক ফেল হওয়ায় দূরে চলে যায়। এসময় যাত্রীদের সাময়িক বিঘ্ন ঘটে। পরে ট্রেনটি পেছনে এসে যাত্রী তোলে। এরপর যাত্রী নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উদ্দেশে দুপুর ১টায় ছেড়ে যায়।