কমিশন না পেয়ে ঠিকাদারকে মারধরের অভিযোগ



ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নির্মাণকাজের কমিশন না দেওয়ায় জেলা পরিষদের প্রশাসকের ব্যক্তিগত সহকারীর (পিএ) বিরুদ্ধে এক ঠিকাদারকে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জেলা পরিষদ কার্যালয়ের সহকারী প্রকৌশলীর কক্ষে এ ঘটনা ঘটে।
মারধরের শিকার মেসার্স হাসান এন্টারপ্রাইজের মালিক ঠিকাদার খায়রুল হাসান সদর থানায় একটি অভিযোগ করেছেন।
শনিবার ঠিকাদারেরা ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে স্থানীয় সাংসদের কাছে স্মারকলিপি দেবেন। খায়রুলের বাড়ি শহরের কাজীপাড়ায়। অভিযুক্ত পিএর নাম আবদুল জব্বার।
প্রত্যক্ষদর্শী, আহত ঠিকাদার ও অভিযোগকারী সূত্রে জানা যায়, জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় একটি মিলনায়তন নির্মাণের কাজ পান খায়রুল হাসান। এর প্রাক্কলিত মূল্য প্রায় ছয় কোটি টাকা। ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল বিভাগ (এলজিইডি), গণপূর্ত এবং জেলা পরিষদের সার্বিক তত্ত্বাবধানে গত জানুয়ারিতে ওই কাজ শুরু করেন খায়রুল। বৃহস্পতিবার তিনি ওই কাজের জন্য প্রায় ৬৫ লাখ টাকার বিল তোলার জন্য জেলা পরিষদ কার্যালয়ের সহকারী প্রকৌশলী হুমায়ূন কবীরের কক্ষে যান। সেখানে খায়রুলের কাছে জেলা পরিষদের প্রশাসক সৈয়দ এ কে এম এমদাদুল বারীর পিএ আবদুল জব্বার চলমান নির্মাণকাজের বিলের ২ শতাংশ টাকা দাবি করেন। এ নিয়ে জব্বারের সঙ্গে খায়রুলের কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে জব্বার প্রকৌশলীর কক্ষেই খায়রুলকে মারধর করেন। এতে খায়রুল আহত হন। খবর পেয়ে খায়রুলের সহযোগীরা সেখান থেকে তাঁকে উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন।
খায়রুল হাসান বলেন, ‘বিল তোলার পর সেখান থেকে শতকরা দুই টাকা দাবি করেন আবদুল জব্বার। তা পরে দেওয়ার কথা বললে জব্বার আমাকে মারধর করেন।’
আবদুল জব্বার বলেন, ‘দাপ্তরিক কাজের শেষ মুহূর্তে বিল তুলতে এসে খায়রুল জেলা পরিষদে হইচই শুরু করে সহকারী প্রকৌশলী হুমায়ূন কবীরের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডায় লিপ্ত হন। এ সময় শান্ত হওয়ার কথা বললে তিনি আমাকে দেখে নেবেন বলে হুমকি দেন। তখন আমি তাঁকে ধাক্কা দিয়ে কক্ষ থেকে বের করে দিয়েছি।’
সহকারী প্রকৌশলী হুমায়ূন কবীরের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ওসি আকুল চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, ‘এ ঘটনায় একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তসাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
সংবাদ :: প্রথমআলো