সেই মেডিকেল শিক্ষার্থী সামিয়ার পাশে দাঁড়ালেন কাতার প্রবাসী শাহ আলম
আমিন ব্যাপারী,কাতার প্রতিনিধিঃ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেল এক খেলনা বিক্রেতা হকারের মেয়ে। বাক প্রতিবন্ধী দরিদ্র হকারের মেয়ে সামিয়া আক্তার শত প্রতিকূলতা পেরিয়েও স্কুল ও কলেজ শিক্ষকদের সহযোগিতায় এ পর্যন্ত পড়াশোনা করে মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। কিন্তু স্বপ্নপূরণে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে অভাব ও দরিদ্রতা। সামিয়ার সফলতা নিয়ে জনপ্রিয় বেসরকারি টিভি চ্যানেল আরটিভিতে “মেডিকেলে চান্স পাওয়া মেয়ের ভর্তি নিয়ে দুশ্চিন্তায় ফুটপাতে খেলনা বিক্রেতা বাবার” শিরোনামে গত ২০ সেপ্টেম্বর একটি সংবাদ প্রকাশ করা হয়। সংবাদ প্রকাশের পর পরই মুহূর্তেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সামিয়ার সংবাদটি ভাইরাল হয়।
আরটিভিতে সামিয়ার সংবাদটি দেখেন খান গ্রুপ কাতারের চেয়ারম্যান মোঃ শাহ আলম খান।এসময় তিনি কাতারের সাংবাদিক আমিন বেপারির মাধ্যমে আরটিভির সংবাদদাতার সাথে যোগাযোগ করেন।পরে বুধবার বিকেলে মোঃ শাহ আলম খান আরটিভির ব্রাহ্মণবাড়িয়া উত্তর সংবাদদাতা মো. সাদ্দাম হোসেনের সাথে যোগাযোগ করে সামিয়ার মা-বাবার হাতে নগদ ৯০ হাজার টাকা ও সামিয়ার মায়ের সেলাই কাজের জন্য ১০ হাজার টাকা মোট ১ লাখা টাকা দিয়ে আর্থিক সহযোগিতা করেন।
শাহ আলম খান বলেন,আমি অদ্যম মেধাবী সামিয়ার পাশে আছি সামিয়ার ভর্তি খরচের জন্য ৯০ হাজার ও সেলাই মেশিন বাবদ মায়ের জন্য ১০ হাজার টাকা দিয়ে পাশে দাঁড়িয়েছি।পরবর্তীতে যদি সহযোগিতা লাগে আমার মত সবাই পাশে দাঁড়াবে এমনটাই আশা করছি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন,সাংবাদিক মো. রুবেল, মো. নাজমুল হাসান, আরটিভির ব্রাহ্মণবাড়িয়া উত্তর সংবাদদাতা মো. সাদ্দাম হোসেন, শাহাদাৎ পাঠন, সালাউদ্দিন পাঠান বাদল ও কাতার থেকে ভার্চুয়ালি মোস্তাফিজুর রহমান রিপন যুক্ত ছিলেন।
এছাড়াও মেডিকেল কলেজে চান্স পাওয়ায় মেধাবী শিক্ষার্থী সামিয়া আক্তারকে সংবর্ধনা ও আর্থিক অনুদান প্রদান করেন ‘মনকাশাইর আলোর পথিক সমাজ সংঘ’ নামে একটি সেচ্ছাসেবী অরাজনৈতিক সামাজিক সংগঠন।