কর্নেল গুলজার: স্মৃতিতে অম্লান। তিন বছর পারঃ বিচারের বাণী আজো নিভৃতে কাঁদে।



বাংলাদেশের ইতিহাসে ফেব্রুয়ারী মাস ভাষা আন্দোলনের জন্য গুরত্বপূর্ন, কিন্তু এখন এটি জাতীয় ক্ষতি এবং শোকের মাস হিসাবে চিহ্নিত হবে। কারন এ মাসেই ইতিহাসের বর্বোচিত হত্যাকান্ডে জাতি তার অত্যন্ত মেধাবী এবং চৌকষ সামরীক কমকর্তাদের হারায়। কর্নেল গুলজারঃ বাংলাদেশী জাতীয় জীবনে যে কয়জন লোক সাধারণ মানুষের মনে স্থান করে নিতে পেরেছেন তাদের মধ্য অন্যতম একজন। কর্নেল গুলজার আমার হিরো, এতো বেশী কেনো ভালবাসতাম তাকে জানিনা। আমার দৃড় বিশ্বাস কর্নেল গুলজার আমাদের স্মৃতি থেকে কখনও মুছে যাবেন না। এতো সাহসী আর কর্মশীল একজন মানুষের এতো মর্মান্তিক মৃত্যু আমি কোনদিনও মেনে নিতে পারিনি পারবোওনা।
‘Justice delyed is Justice denied’. অত্যন্ত সত্য একটা বাণী। আজ প্রায় বছর হয়ে আসলো অথচ বিচারের কোন কুলকিনারা নাই। নিরীহ বিডিআর সদস্যরা ট্রায়ালের মুখোমুখী হচ্ছে অথচ মাস্টারমাইন্ডরা বরাবরের মতো ধরাছোঁয়ার বাহিরে আছে। এই বর্বর হত্যাকান্ডের সুষ্ঠ বিচার কি আদৌ হবে?আমার তো মনে হচ্ছে হবেনা। কারণ গতকাল থেকে আবার দুইদলের মধ্য কাঁদা ছুড়াছুড়ি শুরু হয়েছে। আর এটা শুরু করেছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নিজে।