বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও ধনার্ঢ্য ব্যক্তি মোঃ কামালউদ্দিন ভূঁইয়া



ঘুটঘুটে অন্ধকার, কেরোসিনের কুপি বা হারিকেনের আলো মিটমিট করে জ্বলেছে, তখনও গ্রামটিতে বিদ্যুতের ছোঁয়া লাগেনি, গ্রামের নাম নাওঘাট, সময়টা ১৯৮৪। নাওঘাট গ্রামে প্রথম বিদ্যুতের লাইন টেনে প্রতিটি ঘরে বিদ্যুতের আলো জ্বালিয়ে হারিকেনের অন্ধকারছন্ন আলো থেকে মুক্তি দিতে তৎকালীন সময়ে সবচেয়ে বড় ডোনেশন ২৫ হাজার টাকা চাঁদা দিয়েছিলেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও ধনার্ঢ্য ব্যক্তি মোঃ কামালউদ্দিন ভূঁইয়া। বিদ্যুতায়নের সম্পূর্ন খরচ তিনি একাই বহন করেছিলেন। বিদ্যুৎতায়নের শুভ উদ্বোধন করেছিলেন তৎকালীন সমাজ কল্যাণ, নারী ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রী এ গ্রামের রত্নবধূ ব্যারিস্টার ড. রাবিয়া ভূঁইয়া। তাঁদের অসামান্য অবদানের জন্য ঐসময় নাওঘাট গ্রামের প্রতিটি ঘর বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত হয়েছিল। মোঃ কামালউদ্দিন ভূঁইয়া ১লা জানুয়ারি ১৯৪৮ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আশুগঞ্জ উপজেলার একটি ছোট্র পল্লী নাওঘাট গ্রামে ঐতিহ্যবাহী মোক্তার বাড়িতে জম্ম গ্রহন করেন। বাবা আব্দুল জব্বার ভূইয়া ছিলেন কৃষক। শিশুকালে মায়ের মৃত্যু হলে বড় চাচীর নিকট (আব্দুল হামিদ ভূঁইয়ার স্ত্রী) দুগ্ধপোষ্য সন্তান হিসেবে লালিত পালিত হন। শিক্ষা জীবনের প্রাথমিক স্তরে নানা প্রতিকুলতার কারণে তিনি খুব বেশি পড়ালেখা করতে পারেননি। তবে স্ব-শিক্ষাই তাকে সমাজে আলোকিত করেছিল। কৈশোরে পড়ালেখার পরির্বতে পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ পেশা ব্যবসা-বাণিজ্যকে তিনি বেছে নিয়েছিলেন। মাত্র দেড়শো টাকা পুঁজি নিয়ে ব্যবসা শুরু করেন। জীবন সংগ্রামের লড়াকু এই মানুষটি অনেক চড়াই উৎরাই পেরিয়ে নিজেকে একজন সফল ব্যবসায়ী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেন। তারপর থেকে পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি এই ধর্নাঢ্য ব্যবসায়ীর। ধীরে ধীরে সব কিছুই তাঁর করায়াত্বে চলে আসতে থাকে। সৎ ও হালাল ব্যবসার মাধ্যেমে লাখপতি থেকে কোটিপতি হন। একজন প্রতিষ্ঠিত খাঁটি ব্যবসায়ী হিসেবে তাঁর সুনাম ও খ্যাতি চারদিকে ছড়িয়ে ছিল, যা আজও বিদ্যমান রয়েছে। তাকে বলা হতো তৎকালীন সময়ে ব্যবসায়ীদের মধ্যে সব চেয়ে সফল ব্যক্তি। তিনি নিজে শুধু ব্যবসায় প্রতিপত্তি লাভ করেছেন তা-কিন্তু নয়, বহু সফল ব্যবসায়ী তৈরির কারিগর ছিলেন। তাঁর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চাকুরি করে বহু লোক প্রতিপত্তি লাভ করেছেন। পুরানো ঢাকার বংশাল মালিটোলায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার যে ক’জন সফল ব্যবসায়ী আছে তাদের অনেকেই কামালউদ্দিন ভূঁইয়ার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ‘কে জামান এন্ড ব্রাদার্স’ থেকে হাতেখঁড়ি নেন। ট্রেডিশনাল ব্যবসায় কোন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত অবস্থায় কেউ নিজে ব্যবসা করার সুযোগ পান না। মহাজনের মানসিক উদারতা থাকলেই এমনটা সম্ভব এবং একমাত্র উনারই সেই উদারতা ছিল । সবাইকে তাঁর প্রতিষ্ঠানে চাকুরির পাশাপাশি টুকটাক ব্যবসা করার সুযোগ দিয়েছিলেন। এজন্য পুরানো ঢাকা ব্যবসায়ীমহলে বহুল প্রচলিত একটা কথা ছিল যে, কামালউদ্দিন ভূঁইয়ার শিষ্যরা কেউ ব্যবসায় ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে ঋনের বোঝা মাথায় নিয়ে বাড়িতে চলে যায়নি; তাদের সবাই ব্যবসায় সফল হয়েছেন। এক্ষেত্রে তিনি ছিলেন উদার মানসিকতার এক মূর্তপ্রতিক।
কামালউদ্দিন ভূঁইয়া ভিলেজ পলিটিক্সের একজন নিউক্লিয়াস ছিলেন। ভিলেজ পলিটিক্সে তিনি এতোই পারদর্শী ছিলেন যে, তাঁর সাথে দেন-দরবারের কলা-কৌশলে যে কারো পেরে উঠা কঠিন ছিল। তিনি ছিলেন একজন দক্ষ সালিশকারক ও ন্যায় বিচারক। সঠিক বিচারের প্রশ্নে সব সময় ছিলেন আপোসহীন। কখনো কারো সাথে তিনি উচিৎ কথা বলতে দ্বিধাবোধ করতেন না, সব সময় স্পষ্ট কথা বলতেন। তাঁর কথার মারপ্যাচেঁ পড়ে গেলে সেখান থেকে উঠে আসা অনেকের জন্যই সহজ ছিল না। ন্যায় বিচারক ও প্রগাঢ় চিন্তার মানুষ হিসেবে নাওঘাট ও পাশবর্তী গ্রামগুলোতেও তাঁর যথেষ্ঠ খ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছিল। তিনি মানুষকে সব সময় সুপরামর্শ দিতেন। মাঝেমধ্যে অনেক জিনিয়াস সালিশকারকগণও তাঁর পরামর্শ গ্রহন করতেন। কামালউদ্দিন ভূঁইয়া অত্যন্ত সৌখিন প্রকৃতির লোক ছিলেন। গ্রামের কাঁদা মাটির টানে কর্মব্যস্ত মানুষটি সুযোগ পেলেই গ্রামে চলে আসতেন। জীবনের শেষ দিনগুলো গ্রামের প্রকৃতির মাঝেই কাটিয়েছেন। যখন গ্রামে আসতেন আট দশজন লোক সব সময় তাঁর সাথে থাকত। প্রায়ই চাস্টলে বসে আড্ডা দিতেন। রাতে বের হলে কারো হাতে হারিক্যান, ছাতা, চায়ের কিটলী, পানের কোটা ইত্যাদি থাকত। আশির দশকের দিকে তালশহর রেলস্টেশনে জিয়ারউদ্দিন সরকারের একটি চায়ের স্টল ব্যাতীত আশপাশের চার পাঁচ গ্রামে কোন দোকান ছিল না, তাঁর দোকানকে কেন্দ্র করেই এলাকার গণ্যমান্য লোকদের চায়ের আড্ডা চলত। সমাজের সকল শেণীর মানুষের সাথে তাঁর সুসম্পর্ক ছিল। তাঁর একটা বিশেষ গুণ ছিল তিনি মানুষকে খুব সহজেই কাছে টানতে পারতেন। সাধারণ মানুষও সব সময় তাকে আপনজনের মতো ঘিরে রাখতেন। কামালউদ্দিন ভূঁইয়া ১৯৮৪ সালে আড়াইসিধা উত্তর (বর্তমানে আশুগঞ্জ সদর) ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নাওঘাট আপামর গ্রামবাসীর অকুণ্ঠ সমর্থনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছিলেন। তাঁর নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গ্রামবাসীর মধ্যে যে ঐক্য গড়ে উঠেছিল তা বর্তমান প্রজন্মের জন্য একটি মাইল ফলক। আশুগঞ্জের প্রতাপশালী ব্যক্তি এ ইউনিয়নের তৎকালীন চেয়ারম্যান খুরশিদ সিকদার ও আরেক সুপার ফেবারিট যাত্রাপুর গ্রামের বাসিন্দা হারুন অর রশিদ ছিলেন প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় অনেকের মতে জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকা কামালউদ্দিন ভূঁইয়ার বিজয় প্রায় নিশ্চিত ছিল। চারিদিকে যখন তাঁর বিজয় সবার মুখে রব ওঠে যায়; ঐমূহুর্তে অর্থাৎ ভোট গ্রহন শেষ হওয়ার কিছুক্ষন পূর্বে প্রশাসনের সহযোগীতায় একালে আশুগঞ্জের বর্ষীয়ান আওয়ামী লীগ নেতা প্রয়াত রুস্তুম আলী সিকদারের নেতৃত্বে প্রায় ৫০-৬০ জন যুবক নাওঘাট ভোট কেন্দ্রে হানা দিয়ে ব্যালট বাক্স ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এসময় প্রতিবাদী জনতা এগিয়ে আসলে পুলিশ ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। নাওঘাট গ্রামের সর্বজন শ্রদ্ধীয় ব্যক্তিবর্গ আব্দুল আওয়াল সাব, আব্দুল ওয়াহেদ ভূঁইয়া চেয়ারম্যান ও কাজী আবুল হাসিম-সহ অনেক গন্যমান্য ব্যক্তিদের পুলিশ ধাওয়া করে পুকুরে ফেলে চলে যায়। মূহুর্তের মধ্যেই স্তব্ধ হয়ে যায় পুরো নির্বাচনী আমেজ। গন্যমান্য ব্যক্তিদের পুকুরে ফেলে দিয়ে শুধু কামালউদ্দিন ভূঁইয়ার বিজয়ই ছিনিয়ে নিয়ে যায়নি, সমস্ত গ্রামবাসীকে চরম অপমান ও অসম্মান করেছিল। ফলে ইউনিয়নবাসী তো বটেই যাত্রাপুর গ্রামের মানুষের স্বপ্নও তছনছ হয়ে যায়। ব্যালট বাক্স ছিনিয়ে নিয়ে আশুগঞ্জ থানা চত্তরে খুরশিদ সিকদারকে নির্বাচিত ঘোষনা করা হয়। পরবর্তীকালে প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে খুরশিদ সিকদারের যোগ্য উত্তরসূরিদের অনেকেই প্রার্থী হয়েছিল; কিন্তু তাদের কেউই নির্বাচনে জয়ী হতে পারেনি। উল্লেখ্য যে আশুগঞ্জ সদর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার ক্ষেত্রে নাওঘাটবাসীর সমর্থন মূল ভূমিকা রাখে । ঐ নির্বাচনে খুরশিদ সিকদারকে নির্বাচিত ঘোষনা করলেও কামালউদ্দিন ভূঁইয়া ব্যাপক জনসমর্থন ও পরিচিতি লাভ করেন। সর্বস্তরের মানুষ তাঁকে ভালবেসে ‘কামাল চেয়ারম্যান ; বা ‘চেয়ারম্যান সাব’ বলেই সম্বোধন করতেন। মোঃ কামালউদ্দিন ভূঁইয়া আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। পঁচাত্তর পরবর্তী দুঃসময়ে স্থানীয়ভাবে দলের জন্য টাকা খরচ করতেন। তবে প্রচার বিমুখ মানুষটিকে রাজনীতিতে কখনও কোন পদে দেখা যায়নি।
তিনি আব্দুল হামিদ ভূঁইয়া মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশনের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য ও নাওঘাট কল্যাণ সমিতি ঢাকা, বাংলাদেশ এর প্রতিষ্ঠাতাকালীন সহ-সভাপতি ছিলেন। সমাজসেবা ও দানশীলতায় তিনি অনন্য এক দৃষ্টান্ত ছিলেন। আব্দুল হামিদ ভূঁইয়া মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠার জন্য নাওঘাট গ্রামের মূল রাস্তার পাশে ১৫ শতক জায়গা দান করেন। সমাজে সুবিধা বঞ্চিত অসহায় গরীব দুঃখী মানুষকে সার্বিক সহযোগীতার জন্য তিনি ২০১০ সালে গঠন করেছিলেন “সুজলা-কামাল ফাউন্ডেশন”। উক্ত প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনার দায়িত্বভার তাঁর যোগ্য উত্তরসূরিদের হাতে বহুদূর বিস্তৃতি লাভ করেছে। মানবিক এই প্রতিষ্ঠানটি অসহায় দরিদ্র মানুষের মাঝে আশা জাগিয়েছে। সুজলা-কামাল ফাউন্ডেশন সমাজসেবা, স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও মানবতার কল্যাণে অনন্য নজির স্থাপন করে যাচ্ছে। ২০০৮ সালে নাওঘাট দক্ষিনপাড়া ফোরকানিয়া মাদ্রসা প্রতিষ্ঠাতা করে, পরবর্তীতে এটিকে হাফেজিয়া মাদ্রাসায় রূপান্তরিত করা হয়, যা এলাকাবাসীকে সম্পূর্ন বিনা বেতনে অধ্যায়নের সুযোগ করে দেয়। এছাড়াও মাদ্রাসায় লিল্লাহ বোর্ডিং এর মাধ্যেমে গরীব ছাত্রদের সম্পূর্ণ বিনামূল্যে থাকা, খাওয়ার সুযোগ রয়েছে। ২০১০ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে পশ্চিম মেড্ডায় “ক্ষুদে পন্ডিতদের পাঠশালা” নামে একটি স্কুল প্রতিষ্ঠা করে। নাওঘাট দারুল আকরাম (ইবতেদায়ী) মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার জন্য ১৫ শতক জায়গা দান করে এবং মাটি ভরাট ও ঘর নির্মাণের সম্পূর্ণ খরচ বহন করে। সুজলা-কামাল ফাউন্ডেশন কর্তৃক পরিচালিত প্রতিষ্ঠানগুলো ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের মধ্যে শিক্ষার আলো ছড়াচ্ছে । কামালউদ্দিন ভূঁইয়া সংসার জীবনে একজন সফল অভিভাবক ছিলেন। স্ত্রী সুজেলা বেগম সমাজসেবায় নিয়োজিত। তিনি চার পুত্র ও তিন কন্যা সন্তানের জনক ছিলেন। তার বড় ছেলে মোঃ কামরুজ্জামান ভূঁইয়া মালিটোলার একজন সফল ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক। দ্বিতীয় ছেলে নূরুজ্জামান ভূঁইয়া (মাসুম) উচ্চ শিক্ষা গ্রহনের পর তিনিও ব্যবসা-বিত্ত গড়ে তুলেন। তৃতীয় ছেলে আসাদুজ্জামান ভূঁইয়া (মাসুদ) অল্প বয়সে ব্যবসা খুবই সুখ্যাতি অর্জন করেন। চতুর্থ ছেলে রফিকুজ্জামান ভূইয়া (মুকসদ) ব্যবসায়ী। বড় মেয়ে রোকসান আক্তার শিখা নাটাই বঙ্গবন্ধু উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিকা। আফসানা কামাল ও ফারহানা কামাল আন্নী বিবাহিত। তাঁরা সবাই স্ব স্ব ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত।
কামালউদ্দিন ভূঁইয়ার মধ্যে আধ্যাত্মিকতার গভীর ভাব অবলোকন করা যেত। তিনি বিভিন্ন সময় সম-মানসিকতার লোকদের নিয়ে হাইকোর্টসহ বিভিন্ন মাজারে মাজারে দল বেধে যাতায়াত করতেন এবং মারফতি গানের আসরে যোগদান করতেন। পরবর্তীতে তিনি আজমীর শরিফ খাজা মঈনুদ্দিন চিশতীর বংশধর, নারায়নগঞ্জের নিতাইগঞ্জে বসবাসরত সৈয়দ আলীউদ্দিন চিশতি পীর সাহেবের নিকট বায়াত গ্রহন করেছিলেন। চিশতীয়া তরিকার অনুসারি হিসেবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পশ্চিম মেড্ডায় তাঁর নিজ বাসভবনের নামকরন করেন “চিশতীয়া মঞ্জিল”। অবসর সময় তিনি স্রষ্ট্রার শক্তি ও সৃষ্টির রহস্যের সন্ধানে গভীর ধ্যানে মগ্ন থাকতেন। সামগ্রিকভাবে একজন সফল মানুষ হিসাবে তিনি অসংখ্য মানুষের হৃদয়ে স্থান পেয়েছেন। ২১ শে জুন ২০১০ সালে ঢাকা বারডেম হাসপাতালে ওপেন হার্ট অপরেশনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরলোকগমন করেন। মৃত্যুর পর তাকে নিজ গ্রামের বাড়ির সামনে রাস্তার পাশেই নিজের হাতে খনন করা সুবিশাল পুকুরপাড়ের দক্ষিন-পূর্ব কোনে অন্তিম শায়নে চিরনিদ্রায় সমাহিত করা হয়।
– মোঃ তারিকুল ইসলাম সেলিম, লেখক: লোক-সাহিত্যনুরাগী, রাজনৈতিক কর্মী ও সংগঠক