Main Menu

আমাদের সামাজের মেয়েদের দৃষ্টিভঙ্গি দিন দিন কোন দিকে ধাবিত হচ্ছে ????

+100%-

attitude_banner_bn

আমাদের সামাজের মেয়েদের দৃষ্টিভঙ্গি
১. মেয়েদের যেটা প্রধান দাবী তাহলো ছেলে & মেয়েদের সমান সমান অধিকার দিতে হবে।
২. আবার বাসে উঠলে তাদের জন্য নির্ধারিত জায়গা রাখতে হবে এছাড়া দাড়িয়ে থাকলে অবলা-নারী এজন্য ছিট ছেড়ে দিলে সুবিধা হয়।
৩. নিজেরা পড়াশুনা করে ভাল রেজাল্ট করবে আর যার গাধা তারা যে কোন একটা ছেলের ঘাড়ের উপর বসে নোট-সাজেশন ঠিক করে নিতেই হবে।
৪. বিয়ের পর ছেলেরা যদি মেয়েকে একটু সংসারের কাজের জন্যও অনুরোধ করে তা নারী-নির্যাতন বা মানসিক নির্যাতন বলে মেয়েরা দাবী করে । কিন্তু যখন চক্ষু লজ্জার ভয়ে (যে ছেলেটি এক-গ্লাস পানি পর্যন্ত কোন দিন নিজ হাতে খায়নি সেই ) ছেলেটি শুধু মাত্র তার স্ত্রীর কথায় সংসারের টুকিটাকি কাজ, কিছু কিছু রান্না এমন কি বাসার সমস্ত কাপড়-কাচা পর্যন্ত । যেন মেয়েরা বিয়ে করার মাধ্যমে ফাই-ফরমাস খাটা একটি ছেলে পেয়েছে।
৫. আবার একটি মেয়ে যখন বিয়ে করতে যায় তখন তার বাবা-মাকে বুঝিয়ে বুুঝিয়ে অর্থ-বিত্ত এবং প্রতিষ্ঠিত ছেলেকে বিয়ে করে। আর ঐ একই পরিবারের অন্য একটি ছেলের জন্য যেমন-তেমন একটি বউ নিয়ে আসলেই চলে।
৬. আবার কর্মক্ষেত্রে মেয়েরা নিজেদের কাজগুলি সহকর্মী-ছেলেকে অনুরোধ করে “ভাইয়া প্লিজ এই কাজটা করে দেন-না, বাসায় অনেক কাজ পড়ে গেছে।” আসলে বাসায় কোন কাজই নাই, খা্লি বাসায় গিয়ে স্বামীকে অর্ডার করা।
৭. আমাদের সমাজে মেয়েদের বিয়ে দেওয়ার জন্য যৌতুক দেওয়ার প্রথা দিনকে দিন বেড়েই চলেছে । এক্ষেত্রেও মেয়েদের দৃষ্টভঙ্গি দ্বায়ী। তারা সব সময় চিন্তা করে অর্থ-বিত্ত এবং প্রতিষ্ঠিত ছেলেদের বিয়ে করলেই সুখী হওয়া যায়। কিন্তু একবারও সেই মেয়েটি ভেবে দেখেনা সেই অর্থ-বিত্ত আর প্রতিষ্ঠিত ছেলেটি তার চেয়ে অনেক নিচের স্তরের একটি মেয়েকে কেন বিয়ে করছে??? এক্ষেত্রে সেই ছেলেটি যদি অর্থের দাবী করে তাহলে তাকে সেই অর্থ দাবী করার সুযােগ আমাদের সমাজই করে দিয়েছে, এক্ষেত্রে মেয়েটির পরিবার সমস্তো অস্বাভাবিক যৌতুকের দেনা-পাওনা জনিত ঘটনার জন্য দ্বায়ী।

আর ছেলেরা তো সব সময় মেয়েদের চোখে অপরাধী কারণ গুলি হচ্ছে
১। একটি ছেলে যদি একটি মেয়ের রূপের প্রসংশা করে তাহলে সেই মেয়েটি ভাবে “ছেলেটি নোংরা” আর যদি ছেলেটি মেয়েটির রূপের প্রসংশা না করে তাহলে “ছেলেটি গাধা”
২। যদি কোন ছেলে কোন মেয়েকে প্রেম নিবেদন করে তাহলে সে “চরিত্রহীন” আর যদি কোন ছেলে কেন মেয়েকেই প্রেম নিবেদন না করে তাহলে সে “পুরুষ-স্বত্তহীন”
৩। আগবাড়ীয়ে ছেলে যদি একটি মেয়ের সাথে কথা বলতে যায় তাহলে সে “ব্যক্তিত্বহীন” আর যদি তা না বলে তাহলে সে “অভদ্র”
৪। একটি মেয়ের যেকোন বিপদে যদি একটি ছেলে এগিয়ে আসে তাহলে সে “মতলব বাজ” আর যদি তা না করে তাহলেে ”কাপুরুষ”
৫। যদি কোন বিবাহিত পুরুষ সারা-দিন ঘরে থাকে তাহলে সে “অসল , অপদার্থ” তার বিপরীত হলে “ছন্নছাড়া ঘর-বিমুখ”
৬। অফিস থেকে ফিরে যদি কারো স্ত্রীর মাথা-ব্যাথা করে তাহলে সে ক্লান্ত আর যদি তার স্বামীর মাথা-ব্যাথা করে তাহলে সে তার স্ত্রীকে অবহেলা করছে,উপেক্ষা করছে
৭। বিয়ের পর যদি স্ত্রীকে যদি কোন ছেলে একটু বেশী বেশী সময় দেয় তাহলে তাহলে সে “হ্যাংলা” আর এর বিপরীত হলেই সে “পর-নারী আসক্ত”

এবার একটু ইসলামিক নির্দেশের দিকে দৃষ্টিপাত করা যাক
১। যদি কোন মেয়েকে একটু পর্দা করার অনুরোধ করেছেন তো মরেছেন। তখনই মেয়েটি প্রতিবাদ করে উঠবে আপনি তার স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করছেন। সে আপনি যেই হোন না কেন (স্বামী/বাবা/ভাই/ছেলে/)? সে আপনাকে শুনিয়ে দেবে অনেক পোষাকের মধ্যে তাকে আটকে রাখা যাবে না , চার-দেয়ালের মাঝে তাদের বন্দী করা যাবে না। আমার প্রশ্ন আপনার কোথায় যেতে চাচ্ছেন ?? জাহান্নামে??
একবার ভেবে দেখেছেন, আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহম্মদ ( সাঃ ) মেয়েদের সবচেয়ে উচু-মর্যাদা দান করেছিলেন তাদের পােষাকের মধ্যে বন্দি থাকার জন্য। আসলে আপনাদের সৌদর্য্য যদি রাস্তায় রাস্তায় বিক্রি করে বেড়ান সেক্ষেত্র কারো কিছুই বলার নাই। তবে একদিন না একদিন আপনাদের জবাব-দীহী করতে হবেই।
২। আজ আমাদের দেশের মেয়েরা ইহুদী-খৃষ্টানদের দেখে দেখে ফ্যাশন , স্টাইল আর মডেল হওয়ার প্রতিযোগীতায় ব্যাস্ত হয়ে পড়েছেন, তাদের জন্য আমার কোন উপদেশ বা অনুরোধ নাই। কিন্তু আপনারা অনুগ্রহ করে ফেসবুকে, ইউটিউব তথা ভার্চুয়াল জগতে অন্ততো পর্দা নিয়ে একটি মন্তব্যও করবেন না। নিজেরা জাহান্নামে টিকেট কাটতেছে সেই সাথে অন্যদেরও তার জন্য অাহবান করতেছেন?? দুই-একজন খারাপ মানুষের জন্য আপনারা ইসলামের বিরুদ্ধে কথা বলতে পারেন না।

পরিশেষে বলতে চাই আমাদের দেশের মেয়েরা আসলে কি চাই তারা নিজেরাও জানে না। আপনারা যেগুলোকে সাফল্য মনে করেন আসলে তা সাফল্য হতে নাও পারে। তাই আসুন একটু ইসলামিক জ্ঞান, সামাজিক অগ্রগতি, অগ্রতিশীল প্রযুক্তি ইত্যাদি সম্পর্কে ধারনা অর্জন করার চেষ্টা করি। আর মেয়েদের অনুরোধ করছি আপনারা ছেলেদের ব্যবহার করে অগ্রতিশীল হওয়ার চেষ্টা করেন না, এভাবে অন্যের ঘাড়ে কাঠাল ভেঙ্গে খুব বেশি দুর অগ্রগামী হওয়া যায় না। আর সেই সাথে বলদ ছেলেদের অনুরোধ করব একটি মেয়ে যে কোন কাজের জন্য বললেই বীরের মত তা করে দিতে হবে এই মনোভাব গুলি ছাড়েন, যদি আপনার হাতে অতিরিক্ত সময় থাকে তাহলে মেয়েদের কেন যে কাউকে সাহায্য করতে পারেন। তবে ভাইয়ারা নিজেদের কাজ ফেলে রেখে মেয়েদের জন্য সমাজ সেবা করা বাদ দেন, নইলে আপনি ভবিষ্যতে ঐ মেয়েদের সাথে কথা বলার যোগ্যতা পর্যন্ত থাকবে না। মাসুদ খান 

 






Shares