বিসিবির অভিযান!
২০১২ সালের এশিয়া কাপ রানার্স আপ বাংলাদেশ। ফলে এ বছর এশিয়া কাপে দলের প্রতি অনেক বেশি প্রত্যাশা ছিলো দেশবাসীর। কিন্তু ঘটেছে উল্টো ঘটনা। ভারতের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচ হারের পর দ্বিতীয় ম্যাচে আফগানিস্তানের মতো দুর্বল প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধেও হারতে হয়েছে। যে হারকে স্বয়ং অধিনায়ক আখ্যায়িত করেছেন ‘লজ্জার হার’ বলে। ওই হারের পর বোর্ড কর্তৃক ডেকে পাঠানো হয়েছিলো মুশফিককে। তার সাথে ছিলেন জাতীয় দলের কোচ শেন জার্গেনসেনও। তারা কথা বলেছেন ক্রিকেট বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের সাথে। পরে এ বিষয়ে মিডিয়াতে বিস্তারিত জানিয়েছেন মিডিয়া বোর্ডের চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস।
ঠিক কী বিষয়ে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে জালাল ইউনুস বলেন, “মুশফিকদের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিলো দলে বিশেষ কোনো সমস্যা আছে কিনা। আফগানিস্তানের মতো দলের সাথে হারের কারণ আসলে কী; একই সাথে বোর্ডের কাছে কোচ ও অধিনায়ক কী ধরনের সহোযোগিতা চান, তাও জানতে চাওয়া হয়েছিলো। জবাবে আফগানিস্তানের বিপক্ষ হারের কারণে দল মর্মাহত বলে জানিয়েছেন মুশফিক ও জার্গেনসেন। সেই সাথে এ হার তাদের প্রত্যাশিত ছিলো না বলেও মন্তব্য করেছেন তারা। পরে বোর্ডের পক্ষ হতে জানতে চাওয়া হয়েছিলো, দলে শৃঙ্খলার কোনো অবনতি হয়েছে কিনা। মুশফিক জানিয়েছেন, তা নেই। কোচ যে পরিকল্পনা খেলোয়াড়দের দিচ্ছেন, মাঠে তা ঠিক মতো প্রয়োগ করা হচ্ছে না বলে মন্তব্য করেছেন মুশফিক।”
জালাল উইনুস বলেছেন, “এসব কথার সাথে মুশফিক জানিয়েছেন, চারজন খেলোয়াড় দলের সাথে থেকেও আসলে নেই। তারা পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে খেলছেন না। মাঠে তাদের শরীরী ভাষাতেই তা স্পষ্ট। অনুশীলনের সময় সবকিছু ঠিকঠাক করলেও মাঠে তারা নিষ্প্রভ থাকছে। এ বিষয়ে মুশফিক কোচ ও নির্বাচকদের সাথে কথা বলেছে। এ বিষয়ে দ্রুতই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। নির্বাচকদের পক্ষ থেকে ওই খেলোয়াড়দের বাদ দেওয়ার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে।”
খেলোয়াড়দের নির্দিষ্ট সংখ্যা উল্লেখ করলেও, জালাল ইউনুস তাদের নাম বলেননি। এ বিষয়ে তার বক্তব্য, “এটি দলের অভ্যন্তরীন ব্যাপার। এ বিষয়ে নির্বাচক কমিটি সিদ্ধান্ত নিবে। বোর্ড থেকে কিছু চাপিয়ে দেওয়া হবে না। তবে বোর্ডের সিদ্ধান্ত হলো, শৃঙ্খলাভঙ্গের মতো কিছু হলে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।”
এমনিতেই দলের পারফর্ম খারাপ হচ্ছে। তারপর স্পর্শকাতর বিষয় নিয়ে আলোচনা। উদ্ভুত পরিস্থিতিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দল গোছানোটা কোনো চ্যালেঞ্জের মধ্যে পড়ে গেলো কিনা, এমন প্রশ্নে জালাল ইউনুস বলেন, “না, তা হবে না। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে একটি গোছালো দলই দেখা যাবে।”
বিসিবির এমন পদক্ষেপ দলের জন্য নতুন কী পরিণতি নিয়ে আসে, আপাতত সে অপেক্ষায় বাংলাদেশ ক্রিকেটের সমর্থকরা।