Main Menu

‘সাজেশন থেকে প্রশ্ন ফাঁসের অপপ্রচার’

+100%-

সাজেশন থেকে প্রশ্ন কমন পড়ায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের গুজব ছড়ানোর অপপ্রয়াস চালাচ্ছে একটি মহল। এসএসসি ও এইচএসসি প্রশ্নপত্র ফাঁসের কোনো সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়া যায়নি বলে সংসদে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।

রোববার দমশ জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান মোল্লার লিখিত প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

মন্ত্রী জানান, কিছু কোচিং সেন্টার/কতিপয় ব্যক্তি ও  প্রতিষ্ঠানের দেয়া সাজেশন থেকে পরীক্ষায় প্রশ্ন  কমন পড়ে থাকে। সাজেশন থেকে প্রশ্নপত্র কমন পড়ার বিষয়টিকে অনেকে প্রশ্নপত্র ফাঁসের গুজব বলে চালিয়ে দেয়ার অপপ্রয়াস চালায়। তার পরেও জেএসসি, এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিরুদ্ধে শিক্ষামন্ত্রণালয় দৃঢ় অবস্থান গ্রহণ করে থাকে। মন্ত্রণালয় থেকে সর্তকমূলক ব্যবস্থা আরোও জোরদার করা হয়েছে। পাশাপাশি প্রশ্নপত্র ফাঁসের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়া গেলে দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আ খ ম জাহাঙ্গীর হোসাইন এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, “সারাদেশে ১ হাজার ৫১৯ টি স্বতন্ত্র এবতেদায়ী মাদ্রাসার শিক্ষক ভাতা পেয়ে থাকেন।”

মো. তাজুল ইসলামের এক প্রশ্নের উত্তরে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “জেএসডি, জেডিসি এবং পঞ্চম শ্রেণী ও এবতেদায়ি সমাপনি পরীক্ষার সময় জামায়াত-শিবির-বিএনপির মানবতা বিরোধী জঙ্গী-সন্ত্রাসী কর্মকা-, মানুষ হত্যা, পেট্রোল বোমায় মানুষ পুড়িয়ে মারা হরতাল অবরোধ চরম বাঁধার সৃষ্টি করে। সময়মত ফল প্রকাশ করা ছিল বড় চ্যালেঞ্জ। প্রথম শ্রেণী থেকে নবম শ্রেণী পর্যন্ত সকল ধরণের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিনামূল্যে বই প্রস্তুত করা, পাঠানো ও সময়মত বিতরণ করা প্রায় অসম্ভব বলে সকলে ধরে নিলেও আমরা তা পেরেছি। তাছাড়া নির্বাচনের সময় যে সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দুষ্কৃতিকারীরা অগ্নিসংযোগ, হামলা ও ভাংচুরের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে সে সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জরুরীভিত্তিতে সংস্কার করার লক্ষ্যে জরিপপূর্বক প্রাক্কলন প্রস্তুত করা হয়েছে। প্রাক্কলন প্রস্তুতপূর্বক জরুরী মেরামত কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে।”

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “দেশের সামগ্রিক স্বার্থে ব্যক্তি পর্যায় থেকে শুরু করে জাতীয় পর্যায়ে এদের অপকর্মের বিরুদ্ধে সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টি করে দুর্বার গণআন্দোলন গড়ে তোলা প্রয়োজন। এ ধরণের ধ্বংসাত্মক কাজে যারা জড়িত ছিল তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর কর্তৃক কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।



(পরের সংবাদ) »



Shares