শতাধিক ছাত্রীকে বিষ খাইয়ে হত্যার চেষ্টা



আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলের একটি উচ্চ বিদ্যালয়ের শতাধিক ছাত্রীকে বিষ খাইয়ে মারার চেষ্টা করা হয়েছে । সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নারীশিক্ষা বিরোধী কট্টরপন্থি জঙ্গিরাই এ ঘটনা ঘটিয়েছে । আজ মঙ্গলবার স্কুলটির প্রায় ১৫০ ছাত্রী বিষাক্ত পানি খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে। এদের মধ্যে মাথাব্যথা ও বমি উপসর্গে আক্রান্ত কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর। বাকিরা হাসপাতালে চিকিৎসার পর বাড়ি ফিরেছে। উত্তরাঞ্চলের তাখার প্রদেশের শিক্ষা বিভাগের মুখপাত্র জান মোহাম্মদ নবিজাদা বলেন, “শ্রেণীকক্ষে তারা যে পানি পান করেছে তা বিষাক্ত ছিল এ ব্যাপারে আমরা শতভাগ নিশ্চিত। এটা হয় নারীশিক্ষা বিরোধীদের অথবা দায়িত্বজ্ঞানহীন সশস্ত্র ব্যক্তিদের কাজ।” তাখার জনস্বাস্থ্য বিভাগের প্রধান হাফিজুল্লাহ সূফী বলেন, “এটি স্বাভাবিক অসুস্থতা নয়। ছাত্রীদের মারার চেষ্টায়ই একাজ করা হয়েছে।” তবে কর্মকর্তাদের কেউ প্রতিশোধের ভয়ে এ হামলার দায়ে অভিযুক্ত কোন সুনির্দিষ্ট গোষ্ঠীর নাম বলেননি। তালেবানরা আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলের পর সব বয়সী নারীদের জন্য শিক্ষা নিষিদ্ধ করে। ২০০১ সালে তারা ক্ষমতা থেকে উচ্ছেদ হওয়ার পর থেকে আফগানিস্তানে বিশেষ করে কাবুলে নারীরা স্কুলে যাচ্ছে। কিন্তু তারপরও মেয়েদের, শিক্ষকদের এবং স্কুল ভবন মাঝে মাঝেই হামলার শিকার হচ্ছে। আর সাধারণত এ ধরণের হামলা তুলনামূলকভাবে বেশি হয় দেশের দক্ষিণ ও পশ্চিমাঞ্চলে যেখান থেকে তালেবান জঙ্গিরা সবচেয়ে বেশি সমর্থন পাচ্ছে। তবে আফগানিস্তান সরকার অবশ্য দাবি করেছিল যে তালেবানরা নারী শিক্ষা বিরোধীতা থেকে সরে এসেছে। এর আগে তালেবান সরকার ১৯৯৬-২০০১ সালে ইসলাম বিরোধী ঘোষণা দিয়ে নারী শিক্ষাকে বেআইনি বলে ঘোষণা করে। |