Main Menu

রেলওয়েতে সুইপার হওয়ার জন্যও ঘুষ দিতে হয় কেন?

+100%-
রেল মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নিয়ে যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, “এই দায়িত্ব সাময়িক হলেও নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করবো। কোনো অনিয়ম সহ্য করা হবে না।”

সহকারীর অর্থ কেলেঙ্কারির দায় নিজের কাঁধে নিয়ে সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত রেলমন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে সরে যাওয়ার পর যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে বুধবার রেল মন্ত্রণালয়েরও দায়িত্ব দেয় সরকার। প্রজ্ঞাপণ জারির দুই ঘণ্টার মাথায় রেল ভবনে গিয়ে কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।

এর আগেই রেলভবনে মন্ত্রীর কক্ষে সুরঞ্জিতের নাম বদলে নতুন মন্ত্রীর নামে ফলক বসানো হয়। কাদের তার কক্ষে প্রবেশ করেন দেড়টার পরে। এ সময় কর্মকর্তারা তাদের নতুন মন্ত্রীকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান।

১৫ মিনিট নিজের কক্ষে কাটিয়ে রেলভবনের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে সঙ্গে কথা বলেন কাদের। সংক্ষিপ্ত সংবাদ সম্মেলনের পর কর্মকর্তাদের নিয়ে বৈঠকে বসেন তিনি। কাদের বলেন, “দায়িত্ব সাত দিনের হলেও নিষ্ঠা ও স্বচ্ছতার সঙ্গে পালন করব, দায়সারাভাবে নয়।”

তিনি বলেন, “রাতারতি ম্যাজিকাল ট্রান্সফরমেশন করতে পারব না। রেলের অনিয়মকে নিয়মে, লোকসানকে লাভের ধারায় ফেরাতে হবে।”সব ধরনের অনিয়মে ‘জিরো টলারেন্স’ দেখাতে হবে বলে উল্লেখ করে কাদের কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলেন, “আপনারা নিয়ম মেনে কাজ করবেন। এসব ব্যাপারে আমি খুব কঠোর।”

রেলে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ নিয়ে ওবায়দুল কাদের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বলেন, “নিয়োগের ব্যপারে আমি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করব। তবে আপনারা কোনো অনিয়ম করবেন না।”

“বাঁচার জন্য একজন মানুষের কতো টাকা লাগে? রেলওয়েতে সুইপারের কাজ পাওয়ার জন্য ঘুষ দিতে হয় কেন”, প্রশ্ন রাখেন তিনি। কাদের তার জন্য কোনো সংবর্ধনা সভার আয়োজন করতে নিষেধ করেন। জানান, ব্যানার, গেইট, ফেস্টুন- এগুলো তার পছন্দ নয়।

উল্লেখ্য, গত ৯ এপ্রিল রাতে রাজধানীর পিলখানায় বিজিবি সদর দপ্তরের ফটকে সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের ব্যক্তিগত সহকারী ওমর ফারুক তালুকদারের গাড়িতে অর্থ পাওয়ার ঘটনায় সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত পদত্যাগ করেন। তাকে দপ্তরবিহীন মন্ত্রী করা হয়।






Shares