Main Menu

বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস-২০১৫

+100%-

saiful13405-1447505947-0d4fa9b_xlarge‘স্বাস্থ্যসম্মত জীবনযাপন করি, ডায়াবেটিস থেকে মুক্ত থাকি’ এটিই হচ্ছে বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস-২০১৫ এর প্রতিপাদ্য। প্রতিবছর ১৪ নভেম্বর দিবসটি উদযাপিত হয়। কারণ এই দিনে ইনসুলিনের সহযোগী আবিষ্কারক ফ্রেডেরিক ব্যান্টিঙ্ক এর জন্ম হয়। তিনি চার্লস বেস্ট এর সাথে ১৯২২ সালে ইনসুলিন আবিষ্কার করেন।

বিশ্বে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগী বর্তমানে ৪০ কোটি। ধারণা করা হচ্ছে ২০৩০ সালে ৫০ কোটি ছাড়াবে! দেশে বর্তমানে ৯০ লক্ষ রোগী আছে। প্রতিবছর এক লক্ষ করে বৃদ্ধি পাচ্ছে! গ্রামাঞ্চলে ৫-৮ শতাংশ এবং ঢাকা শহরে প্রায় ১০ শতাংশ লোক আক্রান্ত।

ডায়াবেটিস তো সামান্য রোগ, কিন্তু তার প্রভাব খুবই মারাত্মক হতে পারে। সঠিক সময়ে ঔষধ সেবন ও ডাক্তারের পরামর্শ, খাওয়া-দাওয়ার উপর বিশেষ নজর রাখার মাধ্যমে সহজেই এই রোগ মোকাবেলা করা যায়। নিয়মিত হাঁটলে প্রায় ৫০% ডায়াবেটিস প্রতিরোধযোগ্য।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে কিছু কথা মনে রাখতেই হবে। কথাগুলো হচ্ছে:

১. ডায়েট প্লান অনুযায়ী খাবার গ্রহণ করবেন।
২. শারিরিকভাবে সক্রিয় থাকবেন।
৩. নিয়মিত ঔষধ খাবেন।
৪. সঠিক সময়েই পরীক্ষা করবেন।
৫. রক্তে শর্করার পরিমাণের রেকর্ড রাখবেন।

এখন উপর্যুক্ত বিষয়গুলো নিয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করছি।

খাবারের প্রতি নজর রাখা: ডায়াবেটিস রোগীদের প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার যেমন দুধ, দধি, পনির, ডিম, মাছ, সয়াবিন ইত্যাদি বেশি খাওয়া উচিৎ। খাবার নিয়মিত সঠিক সময়েই খেতে হবে। তৈলাক্ত পদার্থ, মিষ্টি জাতীয় খাবার, বেকারী পণ্য থেকে দূরে পরিহার করা উত্তম।

ব্যায়াম করা: শারিরিকভাবে সক্রিয় থাকলে আপনি অনেকগুলো রোগ থেকে বাঁচতে পারবেন। ব্যায়াম করলে ওজন নিয়ন্ত্রিত হবেন। পাশাপাশি রক্তে শর্করার মান সঠিক রাখতে সহায়তা পাবেন। জগিঙ্গ, মর্নিং ওয়াক, নাচ, দড়ি লাফ ইত্যাদি করতে পারেন। অথবা আপনার শরীরের সাথে মানানসই কোন ব্যায়াম করবেন।

সঠিক সময়ে ঔষধ সেবন: ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে সঠিক সময়ে ঔষধ সেবন করবেন। কখনও নিজ ইচ্ছায় কোন ঔষধ খাবেন না। আবার ডাক্তার প্রদত্ত ঔষধ স্বেচ্ছায় ত্যাগ করবেন না।

জরুরী পরীক্ষা-নিরীক্ষা: ডায়াবেটিস রোগীদের কিটোন এবং হিমোগ্লোবিন A1C পরীক্ষা করতে হয়।

প্রথমত: শরীরে কিটোন পাওয়া গেলে কিটোসিস বা কিটোসাইডোসিস নামক মারাত্মক রোগ হয়েছে বলে ধরা হয়। টাইপ-১ ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে কিটোসাইডোসিস হয়।

দ্বিতীয়ত: রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা জানার জন্য হিমোগ্লোবিন A1C বা HbA1C পরীক্ষা করতে হয়। এই পরীক্ষায় ২-৩ মাসের গড় গ্লুকোজের মাত্রা নির্ণয় করা হয়। পরীক্ষাটি বছরে অন্তত ২ বার করতে হয়। যদি গ্লুকোজের মাত্রা ৭ থেকে বেশি হয় তবে তার ডায়াবেটিস আছে বলে প্রমাণিত হয়।

ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হলে হার্ট অ্যাটাক, কিডনী নষ্ট হওয়া, দৃষ্টি শক্তি নষ্ট হওয়া, পায়ে পচন ধরা যার দরুণ পা কাটার মত জটিলতা ইত্যাদি পরিস্থিতি হতে পারে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, আধুনিক আরামদায়ক জীবনশৈলী পরিহার, জনসচেতনতা বৃদ্ধি, ব্যায়ামের মাধ্যমে এই রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব। তাই এখনই সিদ্ধান্ত নিন কি করবেন?






Shares