১০০০ কোটি রুপি অনুমোদন : শিগগিরই শুরু হচ্ছে আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ নির্মাণ



ডেস্ক ২৪::ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের সঙ্গে বাংলাদেশের সরাসরি রেল যোগাযোগ স্থাপন হতে যাচ্ছে। আখাউড়া-আগরতলা সংযোগ রেললাইন নির্মাণের জন্য ভারত সরকার সম্প্রতি এক হাজার কোটি রুপি বরাদ্দ অনুমোদন করেছে বলে রেল সূত্রে জানা গেছে। এ প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে দুদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার বৈপ্লবিক পরিবর্তন ঘটবে। এখানে দুটি অংশ আছে। একটি হচ্ছে আখাউড়া বর্ডার থেকে আগরতলা পর্যন্ত রেলসংযোগ, আরেকটি আখাউড়া থেকে ভারত সীমান্ত পর্যন্ত। দুটি অংশেরই জমি অধিগ্রহণ ও নির্মাণ ওই অর্থায়নে হবে। নতুন এ রেলসংযোগ চালু হলে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে আর্থসামাজিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদার হবে। সেই সঙ্গে ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলার সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের ১ হাজার ৬৫০ কিলোমিটার দূরত্ব কমে নেমে আসবে ৫১৫ কিলোমিটারে। আর বাংলাদেশের সঙ্গে যাত্রী ও পণ্য পরিবহন বাড়বে, যার ফলে দুদেশই লাভবান হবে। অনুমোদনের পর এখন দ্রুত প্রকল্পের কাজ শুরু হবে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গত জুন মাসে ঢাকা সফরকালে দুদেশের কর্মকর্তারা এ রেলপথের খুঁটিনাটি চূড়ান্ত করেন। প্রকল্পটির সঙ্গে জড়িত রেলওয়ের কর্মকর্তারা জানান, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে রেল যোগাযোগ বৃদ্ধির জন্য পরিকল্পিত আখাউড়া-আগরতলা রেলসংযোগের দৈর্ঘ্য হবে ১৫ কিলোমিটার। এর মধ্যে পাঁচ কিলোমিটার রেলপথ ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে এবং অবশিষ্ট ১০ কিলোমিটার হবে বাংলাদেশে। ত্রিপুরায় রেললাইন স্থাপন এবং এ জন্য প্রয়োজনীয় জমি বরাদ্দ করতে রাজ্যের জন্য ৫৮০ কোটি রুপি বরাদ্দ করা হয়েছে। রেলসূত্র জানায়, বাংলাদেশ অংশে ১০ কিলোমিটার রেললাইন স্থাপনের ব্যয় সংস্থান করবে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ইন্ডিয়ান রেলওয়ের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান ‘ইরকন’ এ রেললাইন স্থাপন করবে। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ জন্য ৪০০ কোটি রুপি বরাদ্দ করেছে।