রাজন হত্যায় অভিযুক্ত কামরুল সৌদি আরবে আটক



অভিযুক্ত ব্যক্তি এখন সৌদি পুলিশের হেফাজতে আছেন বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত গোলাম মসিহ বিবিসিকে বলেন, সৌদি আরব সফররত পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহ্রিয়ার আলম কামরুল ইসলামের দেশত্যাগের খবর জানতে পেরে রিয়াদে দূতাবাস কর্মকর্তাদের দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার আদেশ দেন।
এর পর পরই দূতাবাস কর্মকর্তারা সৌদি ইমিগ্রেশন পুলিশের সাথে যোগযোগ করে কামরুল ইসলাম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারেন।
মি. ইসলামের পাসপোর্টের বিস্তারিত তথ্য সৌদি পুলিশকে দেওয়ার পর তাকে খুঁজে বের করে আটক করা হয়।
রাষ্ট্রদূত মি. মসিহ বলেন, কামরুল ইসলাম জেদ্দায় এক বাড়িতে ড্রাইভারের চাকরি করতেন।
তার কফিল (ভিসার স্পন্সর)-এর সহায়তায় সৌদি পুলিশ তাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। এই মুহূর্তে তিনি জেদ্দা পুলিশের হেফাজতে রয়েছেন।
দেশে ফেরত আনার প্রক্রিয়া
বিবিসির এক প্রশ্নে জবাবে রাষ্ট্রদূত গোলাম মসিহ সৌদি আরবের সাথে বাংলাদেশের বন্দী প্রত্যর্পণ চুক্তি রয়েছে কি না, সে সম্পর্কে বিস্তারিত বলতে চাননি।
তবে তিনি বলেন দূতাবাস এ বিষয়ে সৌদি কূটনৈতিক পুলিশের সাথে যোগাযোগ রাখছে।
অভিযুক্ত কামরুল ইসলামকে বিচারের মুখোমুখি দাঁড় করাতে কতটা সময় লাগতে পারে, সম্পর্কে তিনি বলেন সৌদি আরবে এখন ঈদের ছুটি শুরু হয়েছে।
ঈদের পর অফিস আদালত আবার খোলা হলে এই প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে তিনি জানান।