ইউনিয়ন পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকার অবৈধ এম আর এবরশন কর্তব্য কাজে অবহেলা, বিভিন্ন অনিয়ম,র্দুনীতি
ইউনিয়ন পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকার অবৈধ এম আর এবরশন কর্তব্য কাজে অবহেলা, বিভিন্ন অনিয়ম,র্দুনীতি – বেড়িয়ে আসছে থলের বিড়াল
সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে সাংবাদিক লাঞ্চিত
মোঃআব্দুল হান্নান,নিজস্ব প্রতিনিধিঃ করে গুরুতর পাপ,টাকা দিলেই পাওয়া যায় মাফ – এমন অভিযোগ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসির নগর উপজেলার ফান্দাউক ইউনিয়ন পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকার বিরুদ্ধে । মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে অবৈধ এম আর , এবরশন করা ও কর্তব্য কাজে অবহেলা,রোগীদের সাথে দুর্ব্যবহার,ঠিকমত ঔষধ পত্র বিতরন না করার বিভিন্ন অভিযোগ পাওয়া গেছে । প্রণতি বালার এরুপ অনিয়ম দুর্নীতির বিরোদ্ধে ১৩ এপ্রিল ফান্দাউক ও হাসপাতালের নিকটবর্তী প্রায় ৬০ জন লোক মিলে পরিচালক পরিবার পরিকল্পনা চট্রগ্রাম বিভাগ বরাবরে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছে, সাথে আরো বিভিন্ন জায়গা অনুলিপি ও প্রেরন করেছে।অভিযোগকারীরা অনতি বিরম্বে প্রণতিবালার বদলী ও দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তিদাবী করছে । অভিযোগকারীদের আবেদনের প্রেক্ষিতে সড়েজমিন ফান্দাউকে গেলে বিভিন্ন লোকজন এসে এ প্রতিনিধিকে জানান। প্রণতিবালা প্রায় পাচ বছর যাবৎ এখানে কর্মরত । সে প্রতি দিন গড়ে চার পাচটি অবৈধ এম আর ও এবরশন করে থাকে । প্রায়দিনই তার কাছে সিরিয়াল দিয়ে এরুপ কাজ করাতে হয় । সে এ সমস্ত কাজের চাপে নিয়মিত ও সময় মত অফিসিয়াল কাজ করতে পারে না । অনেক সময় তার বাসায় কিশোরী মেয়েদের রাত্রি যাপন করতে দেখা যায় । জিজ্ঞাসা করলে তার আত্মীয় বলে পরিচয় দেয় ।
হাসপাতাল সংলগ্নবাড়ির সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তা যতীন্দ্র দাস, শ্যামল চৌধুরী , জাকির হোসেন ,সোহাগ মিয়া,জুয়েল মিয়া ,মাহাবুবুর রহমান সহ নাম না জানা আরো বিভিন্ন লোকজন এ প্রতিনিধিকে জানান । প্রতিদিনই তার বাসার রুম থেকে সকাল বিকাল ড্রেন দিয়ে রক্ত ও সেভলনের পানি পড়তে দেখা যায় । তাছাড়া ও প্রতিদিনই তার বাসার ভিতর থেকে বিভিন্ন মহিলাদের চিৎকারের আওয়াজ শোনা যায় ।
২৩ ফেব্রুয়ারীর এবরশন সম্পর্কে তারা বলেন ওই দিন সকাল ৮টার সময় প্রণতিবালার বাসার দ্বিতীয় তলা থেকে ড্রেনে নির্গত প্রচুর রক্ত ও সেভলনের পানি পাড়ার দৃশ্য পাড়ার নারী পুরুষ মিলে ভিড় করে দেখেছে ।কিন্তু তার ভয়ে কেউ থাকে কিছু জিজ্ঞেস করেনি । হাসপাতাল পাড়ার মৃত আরব আলীর ছেলে মোঃ জাকির হোসেন জানান ওই ঘটনার পর প্রণতিবালার সিনিয়র ভিজিটর মাহানুর ওসমানী হাসপাতাল পরিদর্শনে আসলে প্রণতি বালা জাকিরের সামনে মাহানুর ওসমানীকে ৫ হাজার টাকা ঘুষ দিয়ে বিদায় করে দেয় ।
জাকির জানায়, প্রণতি প্রতিমাসে অবৈধভাবে ৫০/৬০ হাজার টাকা অতিরিক্ত আয় করে । মনে হয় প্রনতির টাকার কাছে কর্র্তৃপক্ষ জিম্মি ।নইলে এত কিছুর পর ও কেন ব্যাবস্থা নিচ্ছেনা কর্তৃপক্ষ । ১লা বৈশাখ রোজ সোমবার বেলা ১২ টায় ফান্দাউক বাজারে মরণ ঘোপের মিষ্টির দোকানে বসে অভিযোগকারীদের অভিযোগ শোন ছিলেন সাংবাদিক মোঃ আব্দুল হান্নান। এ খবর শুনতে পেরে হঠাৎ জামাল মিয়া নামক একজনকে সাথে নিয়ে বাজারে মিষ্টির দোকানে এসে উপস্থিত হয় প্রণতিবালা দাস। সাংবাদিক হান্নানকে দেখেই তেলে বেগুনে জ্বলে উঠে প্রণতি। উপস্থিত লোকজনের সামনে দোকানের ভেতরে অশ্লীল ও অকথ্য ভাষায় গালাগাল শুরু করে দেয় সাংবাদিক হান্নানকে। তখন উপস্থিত লোকজন শেষে প্রণতিকে তামিয়ে নিয়ে যায় । পরে হান্নান বিষয়টি ফান্দাউক বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক বুদেব আচায্য কে জানালে ,তিনি চেয়ারম্যানকে জানানোর পরামর্শ দেন । ওই দিনই সাংবাদিক হান্নান ফান্দাউক ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ ফারুকুজজামান ও মেডিকেল অফিসারকে লিখিতভাবে জানান।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মেডিকেল অফিসার ডা মোঃ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমরা লিখিত অভিযোগ পেয়েছি । প্রণতি নিজেই তার দোষ স্বীকার করেছে । সাংবাদিক হান্নানের কাছে দেওয়া প্রনতিবালা দাসের স্বীকরোক্তি মুলক জবান বন্দি রেকটভুক্ত রয়েছে । তিনি আরো জানান প্রণতি চোখে মুখে পথ না দেখে কোন কুচক্রিমহলের প্ররোচনায় সাংবাদিক হান্নানের মান সম্মান ক্ষুন্নকরার কাজে লিপ্ত রয়েছে ।
এ বিষয়ে মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে উপপরিচালক পরিবার পরিকল্পনা ব্রাহ্মণবাড়িয়া অরবিন্দু দত্ত বলেন, আমি অভিযোগ পেয়েছি ।তাকে কারন দশার্নোর জন্য বলেছি । এখনো কোন উত্তর পাইনি ।জবাব পেলে বিভাগীয় পরিচালক কে জানানো হবে ।
জানা গেছে ,প্রণতিবালা দাসের এরুপ কর্মকান্ডের ফলে একদিকে যেমন পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের ভাবমুর্তি ও সুনাম ক্ষুন্ন হচ্ছে।অপরদিকে উঠতি বয়সী তরুন তরুনীরা তা দেখে যৌন কাজে আগ্রহ পাচ্ছে ।