বাঞ্ছারামপুরে শিক্ষক লাঞ্ছিত



নিজস্ব প্রতিবেদক :: গতকাল বৃহস্পতিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় এইচএসসি পরীক্ষায় নকল করতে বাধা দেওয়ায় দুই শিক্ষককে (পরিদর্শক) মারধর করেছে পরীক্ষার্থীরা।
গতকাল বেলা দেড়টার দিকে উপজেলার ছয়ফুল্লাকান্দি বাজারের সিএনজিচালিত অটোরিকশা স্টেশনে এ ঘটনা ঘটে।
বাঞ্ছারামপুরে মারধরের শিকার দুই শিক্ষক হলেন দড়িকান্দি তাজুল ইসলাম কলেজের প্রভাষক আবদুল লতিফ ও জাহাঙ্গীর আলম। তাঁদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। পুলিশ এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে শাহ রাহাত আলী কলেজের মানবিক বিভাগের পরীক্ষার্থী জাকির হোসেনকে আটক করেছে।
বাঞ্ছারামপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবুল বাসার বলেন, আটক জাকির হোসেনকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
প্রভাষক আবদুল লতিফ বলেন, ‘শাহ রাহাত আলী কলেজ কেন্দ্রে ইংরেজি দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষা শেষ হওয়ার পরপরই কয়েকজন পরীক্ষার্থী নকল করতে না পারায় কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সামনে আমাকে দা দিয়ে কোপাবে বলে হুমকি দেয়। কিন্তু কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (শাহ রাহাত আলী কলেজের অধ্যক্ষ) সাজাদুর রহমান তাদের কিছুই বলেননি। এর ২০-২৫ মিনিট পরে দড়িকান্দি যাওয়ার জন্য কেন্দ্রের কাছে ছয়ফুল্লাকান্দি বাজারে গিয়ে অটোরিকশায় ওঠামাত্র ৮-১০ জন পরীক্ষার্থী আমাদের এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি-লাথি মারতে থাকে। এতে আমি ও আরেকজন শিক্ষক আহত হই।’
সাজাদুর রহমান বলেন, ‘আমার সামনে আমার কলেজের কোনো ছাত্র কোনো শিক্ষককে হুমকি দেয়নি। হামলার বিষয়টি আমি পরে শুনেছি।’ তিনি দাবি করেন, ওই কেন্দ্রে নকলের কোনো ঘটনা ঘটেনি।
ইউএনও জাহিদ হোসেন ছিদ্দিক বলেন, তিনি ঘটনা শুনেছেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সভা শেষে বাঞ্ছারামপুরে ফিরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন। আর শিক্ষকেরা নিরাপত্তাহীনতায় থাকলে বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়া হবে।