সরাইলে স্বামীর হাতে স্ত্রী খুন
মোহাম্মদ মাসুদ , সরাইল থেকে: সরাইলে সংখ্যালঘু পরিবারেরএক পাষন্ড স্বামী লিটন সরকারের (২৬) হাতে খুন হয়েছেন স্ত্রী দুই সন্তানের জননী অনিতা রানী সরকার কনক (২২)। গতকাল ভোর রাতে উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের ভাটেরা গ্রামে নির্মম এ ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ গৃহবধুর লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরন করেছেন। পুলিশ, গ্রামবাসী ও অনিতার পারিবারিক সূত্র জানায়, অনিতার বাড়ি জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার মানিকপুর ইউনিয়নের অলুকান্দি গ্রামে। পিতা নকুল চন্দ্র সরকারের তৃতীয় কন্যা সে। দরিদ্র পরিবারে বেড়ে উঠা অনিতার সাথে লিটনের বিয়ে হয় সাত বছর আগে। অনিতার গর্ভে জন্মে ছেলে শ্রাবণ (০২) ও মেয়ে মিতালী (০৩)। দিন মজুর সূধীর সরকারের ছেলে লিটনের পরিবারে ছিল আর্থিক অনটন। কাজ করলে খাবার নতুবা উপোষ। অনিতা প্রায়ই বাবার বাড়ি থেকে টাকা পয়সা এনে সংসারের খরচ চালাত। এ নিয়ে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া ও হাতাহাতি হত। গতকাল ভোর রাতে বাগবিতন্ডার এক পর্যায়ে অনিতার উপর শাররীক নির্যাতন চালায় স্বামী লিটন। এক সময় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে গৃহবধু অনিতা। পরে অনিতার স্বামী, শ্বশুড়, শ্বাশুড়ি সহ বাড়ির সকলেই বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায়। স্থানীয় জনৈক ব্যক্তি মুঠোফোনে অনিতার পরিবারের লোকজনকে বিষয়টি জানিয়ে দেন। বাবা মা সহ অনিতার স্বজনরা দ্রুত সরাইলের ভাটেরা গ্রামে ছুটে আসেন। মেয়ের লাশ দেখে তারা হতবিহবল হয়ে পড়েন। তারা বিষয়টি পুলিশকে অবগত করেন। পুলিশ অনিতার মৃত দেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য প্রেরন করেছেন। অনিতার বাবা মৎস ব্যবসায়ি নকুল চন্দ্র সরকার বলেন, আমার মেয়েকে লিটন ও তার পরিবারের সকলে মিলে হত্যা করেছে। বিয়ের সময় এক ভরি স্বর্ণ, নগদ ২৫ হাজার টাকা ও একটি টেলিভিশন দিয়েছিলাম। বিয়ের পর থেকেই টাকার জন্য আমার মেয়েকে শাররীক নির্যাতন করতো। লিটনের একাধিক প্রতিবেশী জানান, তারা স্বামী স্ত্রী দিনে রাতে প্রায়ই ঝগড়া করত।