সড়কে মৃত্যু: শর্তসাপেক্ষে থাকছে মৃত্যুদণ্ডের বিধানও
বেপরোয়া যান চলাচল বা অবহেলাজনিত কারণে সড়কে কারও মৃত্যু হলে সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের বিধান রাখা হলেও শর্তসাপেক্ষে মৃত্যুদণ্ডের কথাও বলা হয়েছে। কেউ ইচ্ছা করে বাস চাপা দিয়ে কাউকে হত্যা করলেই কেবল এই ধারাটি প্রযোজ্য হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিসভা বৈঠকে ‘সম্পূরক এজেন্ডা’ হিসেবে এ অইনের খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়।
গত ২৯ জুলাই ঢাকার বিমানবন্দর সড়কে বাস চাপায় দুই শিক্ষার্থীর পক্ষ থেকে যে নয়টি দাবি জানিয়েছে তাদের মধ্যে প্রথমেই ছিল ‘বেপোরোয়া ড্রাইভারকে ফাঁসি দিতে হবে এবং এই শাস্তি সংবিধানে সংযোজন করতে হবে।’
সরকার এই নয় দাবি মেনে নেয়ার কথাও বলেছে। আর আইনে এই বিষয়টি সংযোজন থাকলেও তা পুরোপুরি নির্ভর করছে পুলিশের ওপর। বাহিনীটি পুলিশ তদন্ত করে যদি মনে করে এটি হত্যা, তাহলেই দণ্ডবিধিার ৩০২ ধারায় বিচার হবে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের বলেন, ‘মোটরযান দুর্ঘটনায় আহত বা প্রাণহানি হলে পেনাল কোড অনুযায়ী অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। তবে শর্ত থাকে যে, পেনাল কোডে যা কিছু থাকুক না কেন অবহেলাজনিত কারণে গুরুতরভাবে আহত বা প্রাণহানি হলে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড বা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবে।’
২০১৭ সালের মার্চে নীতিগত অনুমোদন হওয়া খসড়ায় গুরুতর আহত বা প্রাণহানির জন্য সর্বোচ্চ সাজা ছিল তিন বছরের কারাদণ্ড। এখন সব শ্রেণির সর্বসম্মত মত অনুযায়ী পাঁচ বছর করা হয়েছে, অর্থদণ্ডের বিষয়ে সীমা দেওয়া নেই।
এ সময় সড়ক পরিবহন বিভাগের সচিব নজরুল ইসলাম বলেন, ‘তদন্তে দুর্ঘটনা যদি উদ্দেশ্যমূলক হিসেবে প্রমাণিত হয় তাহলে তা দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় (হত্যা, সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড) যাবে। আর চালকের কারণে প্রাণহানি হয়ে থাকলে ৩০৪ (বি) ধারা অনুযায়ী সাজা দেওয়া হবে। তদন্ত কর্মকর্তাই ঠিক করবেন- অপরাধ কোন ধারায় যাবে।’