ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সামান্য ঘটনা নিয়ে একপক্ষ অন্য পক্ষকে খুন ও জখমের মতো ঘটনা ঘটায়- দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জহিরুল হক হত্যার ঘটনাটি খুবই নৃশংস। যেখানে সামান্য ঘটনা নিয়ে খুবই উত্তেজিত হয়ে একপক্ষ অন্য পক্ষকে খুন ও জখমের মতো ঘটনা ঘটায়। এই মামলায় পরিকল্পনা মোতাবেক আওয়ামী লীগ নেতা জহিরুলকে হত্যা করা হয়। এ কারণে আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়াই সমীচীন বলে মনে করেন ট্রাইব্যুনাল।
রোববার (২৬ ডিসেম্বর) ব্রাহ্মণবাড়িয়া জগত বাজারের ব্যবসায়ী ও নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়ন ৫ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ শাখার সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক হত্যা মামলায় ১৩ জনের মৃত্যুদণ্ড ও আটজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান। রায়ের পর্যবেক্ষণে বিচারক এসব কথা বলেন।
রায়ের পর্যবেক্ষণে বিচারক বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জহিরুল হক হত্যার ঘটনাটি খুবই নৃশংস। যেখানে সামান্য ঘটনা নিয়ে খুবই উত্তেজিত হয়ে একপক্ষ অন্য পক্ষকে খুন ও জখমের মতো ঘটনা ঘটায়। এই মামলায় পরিকল্পনা মোতাবেক আওয়ামী লীগ নেতা জহিরুল হককে বসু মিয়া গং কর্তৃক ভিকটিমকে পিটিয়ে ও ধারালো অস্ত্রের দ্বারা দুই হাতে গলা চেপে ধরলে গলা দিয়ে রক্ত বমি হয়, বাম উরুতে সামনে রগ কাটা জখম, বাম উরুতে পেছনে কাটা জখম, কোমড়ের পিছনে জখম, বাম হাঁটুর নিচে রগ কাটা জখম, মুখের ডান চোয়ালে ছিদ্র জখম, মাথার পেছনে থেঁতলানো জখম, বুকে পিঠে কোমড়ে পিটিয়ে জখম, বাম চোয়ালের উপরে গুরুতর থেঁতলানো কালচে জখম, তলপেটে পা দিয়ে মুড়িয়ে জখমসহ কিলিয়ে, উষ্টিয়ে, লাথিয়ে পুরো শরীরে আঘাত করে, বুক থেকে পেট পর্যন্ত খোলা লম্বা কাটা মারাত্মক রক্তাক্ত গ্রিভিয়াস জখম করে খুন করা হয়েছে। এটা খুবই দুঃখজনক। এ কারণে আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়াই সমীচীন বলে মনে করেন ট্রাইব্যুনাল।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- বসু মিয়া, কবির মিয়া, মোখলেস, সাচ্চু মিয়া, জাহাঙ্গীর মিয়া, শহিবুর রহমান শুক্কি, লিয়াকত আলী, ইউনুছ মিয়া, রহমত উল্লাহ ওরফে ফারিয়াজ মিয়া, শিথিল আহমেদ ওরফে ফাহিম আহমেদ, সাইফুল, পাবেল এবং আলী মিয়া।
যাবজ্জীবন প্রাপ্ত আসামিরা হলেন নুরুল ইসলাম, হাবিবুর রহমান, রাসেল, মাজু মিয়া, গোলাপ মিয়া, সোহেল মিয়া, শাহজাহান ও বোরহান ওরফে রুহান।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছর সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।