দুর্বৃত্তের গুলিতে ইতালীয় নাগরিক নিহত: সড়কবাতি নেভানো ছিল
গুলশানে মিসরীয় দূতাবাসের কাছে গুলিবিদ্ধ হয়ে ইতালীয় নাগরিক মৃত্যুতে আলামত সংগ্রহ করছেন সিআইডি সদস্যরা। রাজধানীর গুলশানে মিসরীয় দূতাবাসের কাছে সোমবার গুলিবিদ্ধ হয়ে ইতালির এক নাগরিক মারা গেছেন। ওই ব্যক্তির নাম তাভেলা সিসারো। তিনি নেদারল্যান্ডস-ভিত্তিক একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করতেন। পুলিশ জানায়, আজ সোমবার সন্ধ্যায় গুলশানের ৯০ নম্বর সড়ক দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় তাভেলা সিসারোকে মোটরসাইকেলে চড়ে আসা কয়েকজন লোক গুলি করে তাঁর সঙ্গে থাকা ব্যাগ নিয়ে যায়। তাৎক্ষণিকভাবে তাঁকে উদ্ধার করে স্থানীয় ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানকার চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। রাতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিদর্শক মোকলেসুর রহমান। তিনি সেখানে সাংবাদিকদের কাছে সিসারোর পরিচয় নিশ্চিত করেন।
খুনের সময় সড়কবাতি বন্ধ ছিল !
নিরাপত্তা শঙ্কায় অষ্ট্রেলিয়া যখন খেলোয়াড়দের ঢাকায় পাঠাবে কিনা তা নিয়ে দ্বিধা-দ্বন্দ্বে ঠিক তখনই খোদ রাজধানীর গুলশানের অভিজাত এলাকায় খুন হলেন অ্যাভেলা সিসেরা নামে এক ইতালীয় নাগরিক। কূটনৈতিক পাড়ার মতো স্পর্শকাতর এলাকায় খুনের ঘটনায় নানা প্রশ্নে জন্ম দিয়েছে। বরাবরের মতোই খুনিরা খুন করে পালিয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য হচ্ছে, ঘটনার সময় আশপাশের সড়কবাতি গুলো জ্বলছিল না। ফলে সিসেরকে গুলি করে হত্যা করার পর দুর্বৃত্তরা সহজেই অন্ধকার পথে পালিয়ে যেতে পরেছে।গুলি করে পালিয়ে যাওয়ার পর পরই সড়ক বাতিগুলো ম্যাজিকের মতো হঠাৎ জ্বলে ওঠে। সবার মনেই প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, অন্ধকার নেমে আসার পরও কেন গুলশানের মতো অভিজাত এলাকার সড়ক বাতিগুলো বন্ধ ছিল? এটা পরিষ্কার যে হামলা ছিল পূর্বপরিকল্পিত। প্রশ্ন দেখা দিয়েছে সড়কবাতিলগুলো বন্ধ থাকার সঙ্গে এই হত্যাকা-ের কোনো যোগসূত্র রয়েছে কি না। এ ব্যাপারে ফোনে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাদের কাউকেই পাওয়া যায়নি। প্রত্যক্ষদর্শীদের জানিয়েছেন, এই বিদেশি নাগরিককের ওপর যখন হামলা চালানো হয়, তখন ঘটনাস্থলের সড়কবাতি নেভানো ছিল। আগে থেকেই সড়কের মোড়ে মোটর সাইকেলে করে অবস্থান নিয়েছিল তিন হামলাকারী। এক ফাঁকে তারা এসে সিসেরকে টার্গেট করে গুলি করে সাথে থাকা ব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
নিরাপত্তার দায়িত্ব যেহেতেু পুলিশের তাই গুলশান থানার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে ফোনের ওপার থেকে তিনি শোনালেন সেই অমিয় বাণী। জানানো হল, এ বিষয়ে তার জানা নেই।
আরও অবাক করার বিষয়, ওই এলাকার সিসিটিভি ক্যামেরাগুলো চালু ছিল কিনা তাও জানেনা গুলশান থানা পুলিশ। এ বক্তব্য থানাটির ডিউটি অফিসার এসআই পরেশের।
তার বক্তব্য হচ্ছে, সেখানে রাস্তায় লাইট বন্ধ ছিল সেটা আমি টেলিভিশনের মাধ্যমে শুনেছি। তবে কেন বন্ধ ছিল তা বলতে পারবোনা। আর সিসি ক্যামেরা বন্ধ না চালু আছে তাও আমার জানা নেই।