নির্বাচন বর্জনের হুমকি বিএনপির
নুর এ আলম ছিদ্দিকী>তৃতীয় ধাপের নির্বাচন শান্তিপূর্ণ করতে ব্যর্থ হলে পরবর্তীপর্যায়ে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন বর্জনের হুঁশিয়ারি দিয়েছে বিএনপি। গতকাল বিকেলে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকীবউদ্দিন আহমদের সাথে সাাতের পর দলটির যুগ্ম মহাসচিব মোহাম্মদ শাহজাহান এ হুঁশিয়ারি দেন।
সিইসির সাথে সাাৎ শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, গত ২২ মার্চের প্রথম ধাপের ইউপি নির্বাচন এবং আজকের নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হয়নি। ভোটের আগের রাত ১২টার পর থেকেই সিল মারা শুরু হয়। শুধু মানুষের রক্ত ঝরে, প্রাণ যায়। এ নির্বাচনের মানে কী? সিইসির যে মতা আছে, সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে তার সে ভূমিকা দেখি না। প্রশাসন, ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা ও মতাসীন দলের প্রার্থীদের কাছে তিনি অসহায়। কারণ, তারা সবাই একাট্টা হয়ে কাজ করছে। নির্বাচন কমিশন কোনো সফলতা দেখাতে পারেনি। তারা ব্যর্থ হয়েছে।
এমন চলতে থাকলে আমরা সামনে যে চার ধাপের নির্বাচন আছে, তা বর্জনের সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হবো।
সিইসি আপনাদের কী বলেছে জানতে চাইলে শাহজাহান বলেন, আমাদের অভিযোগের জবাবে সিইসি বলেছেন, সামনের নির্বাচনগুলো আরো সুন্দর হবে। আমরা বলেছি, আপনি আগেও এ প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। কিন্তু রা করতে পারেননি। কাজেই এই দুই ধাপের নির্বাচন বাতিল করে আবার ভোট নেয়ার ব্যবস্থা করুন এবং তৃতীয় ধাপের নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করুন।
মোহাম্মদ শাহজাহান আরো বলেন, আমরা নির্বাচনে এসে তাদের সুযোগ করে দিয়েছিলাম গ্রহণযোগ্যতা সৃষ্টির। কিন্তু সরকার ও ইসি সে সুযোগ গ্রহণ করেনি। তাই গত দু’টি নির্বাচন বাতিল করে আবার নির্বাচন করেন। আগামী যে নির্বাচন আছে, সেটা সুষ্ঠুভাবে করেন। এর ওপর নির্ভর করবে সামনের ধাপগুলোয় আমরা থাকব কী থাকব না।
গতকাল ভোটগ্রহণ শেষেই বিএনপির তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল সিইসির সাথে ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক করেন। প্রতিনিধিদলে মোহাম্মদ শাহজাহান ছাড়াও ছিলেন দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ক্যাপ্টেন (অব:) সুজাউদ্দীন ও সহপ্রচার সম্পাদক ইমরান সালেহ প্রিন্স।
দেশের সাড়ে চার হাজার ইউপিতে এবার ছয় ধাপে ভোটগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি। প্রথম ধাপের নির্বাচনে অনিয়মের কারণে ৬৫টি ভোটকেন্দ্র বন্ধ করে দিতে হয়েছে। ভোটের দিনসহ প্রথম ধাপে অন্তত ৩০ ব্যক্তি নিহত হন। আর দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে ৩৩ কেন্দ্র বন্ধ থাকে এবং সাতজন নিহত হন।