চট্টলা ভেবে সুবর্ণ এক্সপ্রেসকে কসবা স্টেশনে ষ্টপেজ

সময়সূচি অনুযায়ী চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী আন্তনগর ৮০১ নং চট্টলা এক্সপ্রেস সকাল ৯টা ২৫ মিনিটে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা রেলওয়ে স্টেশনে যাত্রাবিরতি দেবে। পেছনে থাকা একই পথের বিরতিহীন ৮০১ সুবর্ণ এক্সপ্রেস ৯টা ৩৫ মিনিটে কসবা অতিক্রম করে যাবে। এরপর ৯টা ৪১ মিনিটে চট্টলা এক্সপ্রেস ছেড়ে যাবে।
তবে বুধবার, ৩ সেপ্টেম্বর ঘটে গেল বিপত্তি। সুবর্ণ এক্সপ্রেস নির্ধারিত সময়ে চললেও চট্টলা ১০ মিনিটের মতো বিলম্বে চলছিল। ফলে কসবা স্টেশনের আগেই চট্টলাকে পেছনে ফেলে এগিয়ে আসে সুবর্ণ এক্সপ্রেস। স্টেশন মাস্টার চট্টলা এক্সপ্রেস মনে করে সুবর্ণকে লাল সংকেত দিয়ে থামান। এমনকি ট্রেনটিকে লোপ লাইনে অর্থাৎ যাত্রী ওঠার সুবিধার্থে ১নং প্ল্যাটফর্মে নিয়ে যান।
সুবর্ণ এক্সপ্রেস কসবা স্টেশনে প্রবেশের পর এর অবয়ব (কোরিয়ান কোচ) দেখে স্টেশন মাস্টার বুঝতে পারেন এটি চট্টলা নয়। এরই মধ্যে মাইকে ঘোষণা দেওয়া হয় ট্রেনটিতে যাতে কেউ না ওঠে, এটি বিরতিহীন ট্রেন। অবশ্য এরই মধ্যে কয়েকজন ট্রেনে উঠে পড়েন। আবার অনেকে বুঝতে পেরে দ্রুত নেমে যান।
কসবা স্টেসন মাস্টার জানান, মন্দবাগ স্টেশন থেকে জানানো হয়েছিল, আগে চট্টলা আসছে। সে অনুযায়ী ট্রেন থামানোর সংকেত দেওয়া হয়। পরবর্তীতে সুবর্ণ আগে চলে আসলেও জানানো হয়নি। ফলে বিরতিহীন সুবর্ণ দুই-এক সেকেন্ডের জন্য থামে। পরে বুঝতে পেরে সঙ্গে সঙ্গে লাইন ক্লিয়ার দেওয়া হয়। যাত্রীরা যেন না উঠে পড়েন সেজন্য মাইকিং করা হয়।































