দুই দল গ্রামবাসীর সংঘর্ষে কসবায় পুলিশসহ আহত ২৪, গ্রেপ্তার ৪
ডেস্ক ২৪: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা পৌর এলাকার আড়াইবাড়ী কদমতলী মোড়ে গত সোমবার সন্ধ্যায় দুই দল গ্রামবাসীর দফায় দফায় সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে পুলিশের ছয়জন কনস্টেবল আহত হয়েছেন। এ সময় তিনটি দোকান ভাঙচুর করা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশের ছোড়া শটগানের গুলি ১৮ জন গ্রামবাসীর শরীরে বিদ্ধ হয়। এ ঘটনায় পুলিশ ১৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৫০০-৬০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। এর মধ্যে চারজনকে গ্রেপ্তার করে গতকাল মঙ্গলবার জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, কসবা পৌর এলাকার শাহপুর গ্রামের আবদুছ ছাত্তার চৌধুরীর ছেলে মামুন মিয়া চৌধুরী (২৫) গত রোববার (১১ আগস্ট) বিকেলে তাঁর এক নারী আত্মীয়কে নিয়ে কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চত্বর এলাকায় বেড়াতে আসেন। এ সময় পৌর এলাকার আড়াইবাড়ী গ্রামের আবদুল মালেক মিয়ার ছেলে জীবন মিয়া (২৪) ও তাঁর সঙ্গীরা ওই নারীকে উত্ত্যক্ত করেন। পরদিন সোমবার বিকেলে মামুন কয়েকজন বন্ধু নিয়ে আবারও ওই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এলাকায় গেলে সেখানে জীবন ও তাঁর লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এতে গুরুতর আহত মামুনকে কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এ খবরে শাহপুর ও আড়াইবাড়ী গ্রামের বাসিন্দারা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। আড়াইবাড়ীর কদমতলী ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় তাদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করতে গেলে ছয়জন কনস্টেবল আহত হন। পুলিশের শটগানের গুলিতে আহত হন ১৮ জন। কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বদরুল আলম তালুকদার বলেন, একটি মেয়েকে উত্ত্যক্ত করাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশকে শটগানের ১১০টি গুলি ছুড়তে হয়। সংঘর্ষে পুলিশের ছয়জন কনস্টেবল ও ১৮ জন গ্রামবাসী আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে জীবনকে প্রধান আসামি করে ১৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৫০০-৬০০ জনের বিরুদ্ধে পুলিশের কাজে বাধা ও পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা করেছে। চারজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে গতকালই জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। বাকি আসামিরা গা ঢাকা দিয়েছেন। |