Main Menu

প্রতিবন্ধী ধর্ষণের ঘটনায় মামলা

+100%-

কসবা প্রতিনিধি : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলায় ধর্ষণের শিকার সেই বাকপ্রতিবন্ধী (১৪) কিশোরীকে  বুধবার ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ। এদিকে ওই প্রতিবন্ধী কিশোরীর মা বাদী হয়ে গতকাল ধর্ষণের অভিযোগে শাহিন মিয়ার বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।

এলাকার অনেকে ও পুলিশ জানায়, ওই কিশোরী চতুর্থ শ্রেণীতে পড়ে। গত রোববার দুপুরে স্কুলে কোচিং শেষে বাড়ি ফেরার পথে তাকে কায়েমপুর গ্রামের কালু মিয়ার ছেলে শাহিন তুলে নিয়ে যায়। পরে শাহিন একই গ্রামের ইদ্রিছ মিয়ার ফাঁকা বাড়ির রান্নাঘরে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করে। ঘটনা জানাজানি হলে ওই গ্রামের প্রভাবশালী ব্যক্তিরা কায়েমপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ফিরোজ মিয়াকে বিষয়টি মীমাংসার জন্য বলেন। পরে ফিরোজ ওই কিশোরীর পরিবারকে এ ঘটনায় মামলা না করতে চাপ দেন।

পরে এ নিয়ে ওই গ্রামের বারেক মিয়ার বাড়িতে গত মঙ্গলবার বৈঠক হয়। ফিরোজের সভাপতিত্বে বৈঠকে বারেক, ঝাড়ু মিয়া সর্দার, কালু, জামাল সর্দার উপস্থিত ছিলেন। এ সময় সালিসকারীরা শাহিনকে দোষী সাব্যস্ত করে এক লাখ টাকা জরিমানা ও জুতাপেটার রায় দেন। সভায় কালু পাঁচ হাজার টাকা দেন। বাকি ৯৫ হাজার টাকা বারেকের কাছে দেওয়ার কথা। কিন্তু গত মঙ্গলবার বিকেলে ওই টাকা দেওয়ার কথা থাকলেও এখনো তা দেওয়া হয়নি।

এদিকে গতকাল প্রথম আলোয় ‘জুতাপেটা ও লাখ টাকায় ধর্ষণের ঘটনা মীমাংসা’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। এ সংবাদ পড়ে গতকাল সকালে থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবদুল হক ওই কিশোরীকে তাঁর বাড়ি থেকে নিয়ে এসে তাকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে পাঠান।

কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বদরুল আলম তালুকদার জানান, এ ঘটনায় মেয়েটির মা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেছেন।

নবীনগর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. সফিউর রহমান জানান, ধর্ষণের ঘটনা মীমাংসা করা যায় না, যা উচ্চ আদালতের নির্দেশে রয়েছে। শাহিন ও যাঁরা ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন, তাঁরা কেউ-ই রক্ষা পাবেন না।






Shares