লেবাননে বিস্ফোরণে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আরেক তরুণের মৃত্যু



লেবাননের বৈরুতে জোড়া বিস্ফোরণের ঘটনায় মো. রাসেল (২২) নামে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আরেক তরুণের মৃত্যু হয়েছে। তিনি জেলার কসবা উপজেলার কাইমপুর ইউনিয়নের জাজিসার গ্রামের মোর্শেদ মিয়ার ছেলে।
এ ঘটনায় রাসেলের বড় ভাই সাদেক মিয়া গুরুতর আহত হয়ে বৈরুতের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে।
রাসেলের পরিবারের লোকজন জানিয়েছেন, তিন ভাই ও দুই বোনের মধ্যে রাসেল সবার ছোট। প্রায় চার বছর আগে রাসেল লেবানন পাড়ি জমান। তার বড় ভাই সাদেকও লেবাননেই থাকেন। রাসেল বৈরুতের একটি তেলের পাম্পে চাকরি করতেন।
পরিবারের ছোট ছেলেকে হারিয়ে বাড়িতে এখন চলছে শোকের মাতম। ছেলের মৃত্যুর খবর পেয়ে বাবা-মা বারবার কান্নায় মূর্ছা যাচ্ছেন। ছেলের মরদেহ দেশে আনার দাবি জানিয়েছেন তারা।
কাইমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ইয়াকুব মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, রাসেলের মরদেহ দেশে আনার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
উল্লেখ্য, বৈরুতের জোড়া বিস্ফোরণের ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়নের ভাদেশ্বরা গ্রামের আরেক তরুণ মেহেদী হাসান রনির (২৫) মৃত্যু হয়। তিনি ২০১৪ সালের মার্চে লেবাননে যান। একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েছে রাসেলের পরিবার।