কসবায় শিশুকে অপহরণ, মুক্তিপণ দাবি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় গত শনিবার সকালে খাদিজা মণি ওরফে মিতু নামের (৭) এক স্কুলছাত্রীকে অপহরণের পর দেড় লাখ টাকা মুক্তিপণ চাওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় শিশুটির মা রুনা আক্তার কসবা থানায় মামলা করেছেন।
পুলিশ শনিবার রাতেই দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তার দুজন |হলেন কসবার লতুয়ামুড়া গ্রামের মাসুক মিয়া (২০) ও খাইরুল মিয়া (১৯)।
খাদিজা মণি কসবা উপজেলার বাড়াই গ্রামের আল-আমিন মিয়ার মেয়ে। আল-আমিন মিয়া সৌদি আরবে চাকরি করেন। কসবা পৌর শহরের শীতলপাড়ায় একটি ভাড়া বাড়িতে বসবাস করেন আল-আমিনের স্ত্রী রুনা আক্তার এবং তাঁর মেয়ে খাদিজা মণি ও দুই বছরের ছেলে আবদুল্লাহ। খাদিজা মণি স্থানীয় কসবা ইমাম প্রি-ক্যাডেট স্কুলের প্রথম শ্রেণির ছাত্রী ও স্থানীয় একটি মহিলা মাদ্রাসায় প্রতিদিন সকালে পড়ত।
এজাহারের বিবরণ অনুযায়ী, খাদিজা মণি শনিবার সকাল সাড়ে সাতটার দিকে একই ভবনে থাকা সহপাঠী মায়মুনা আক্তারকে নিয়ে বাসার কাছেই শীতলপাড়া এলাকার একটি মহিলা মাদ্রাসায় পড়তে রওনা হয়। একটু এগোনোর পর একটি ছেলে খাদিজা মণিকে চকলেট কিনে দেওয়ার কথা বলে ডেকে নেয়। এ সময় মায়মুনা মাদ্রাসায় চলে যায়। পরে খাদিজা মণি আর মাদ্রাসায় যায়নি। সকাল আটটার দিকে তার মায়ের মুঠোফোনে ফোন করে মেয়েকে অপহরণের কথা জানানো হয় এবং দেড় লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ওই স্কুলছাত্রীকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।সূত্র: প্রথম আলো