কসবায় পৌর কাউন্সিলরের নেতৃত্বে হাসপাতাল ভাংচুর:দুই মামলায় ৪৫ জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ
খ.ম.হারুনুর রশীদ ঢালী,কসবা প্রতিনিধি : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলা সদর ইমামপাড়ায় শুক্রবার বিকালে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ৫ জন আহত হয়। গুরুতর হাবিবুর রহমানকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করা হয়েছে। আহতরা হলেন সাইফুল ইসলাম (১৮),জাহিদুল ইসলাম (১৮), হ্নদয় (২০), আফরিজুল ইসলা (১৯), তোহিদুল ইসলাম (৫০), আনিসুল ইসলাম (৩৬) প্রমুখ । কসবা হাসপাতালসহ দুই মামলায় ৪৫জনকে আসামী দিয়ে কসবা থানায় অভিযোগ দায়ের করার সংবাদ পাওয়া গেছে।
প্রত্যক্ষদশীরা জানান,শুক্রবার বিকাল ৪টায় তেতৈইয়া বনাম আকছিনা গ্রামের দুটি পক্ষ বিয়ের দাওয়াত খেয়ে ইমপাড়ায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ হয়। খবর পেয়ে কসবা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি শান্ত করে। আকছিনা গ্রামের আহতরা কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে চিকিৎসা নিতে গেলে সংবাদ পেয়ে কসবা পৌরসভা ৬নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রগু মিয়ার নেতৃত্বে আহত হাবিবুর রহমানের উপর ঝাপিয়ে পড়ে তাকেসহ তার ভাই তোহিদল ইসলামকে গুরুতর আহত করে।
অপর দিকে উক্ত হাসপাতালের জরুরী বিভাগে হামলা চালিয়ে সরকারি সম্পদ ভাংচুর করে। এই ব্যাপারে কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পক্ষ থেকে জরুরী বিভাগের সেবক মোঃ মিজানুর রহমান শেখ বাদী হয়ে কসবা পৌর কাউন্সিলর রগু মিয়াসহ ১৫ এবং আহত হাবিবুর রহমানের পক্ষে তার ভাই আনিছ বাদি হয়ে উক্ত কাউন্সিলরসহ ৩০ জন মোট দুইটি অভিযোগে ৪৫জনকে আসামী করে কসবা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
কসবা থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মহিউদ্দিন অভিযোগ করার সততা স্বীকার করেন। অপর দিকে তেতৈইয়া গ্রামের পক্ষে ৭জনকে আসামী করে আরেকটি অভিযোগ প্রদান করেছেন বলে এসআই মুজিবুর রহমান -৩ জানান। বর্তমানে এলাকায় থমথম ভাব বিরাজ করছেন বলে বিশেষ সূত্রটি জানান।