কসবায় কলেজছাত্রী গণধর্ষণের শিকার:: ৩ জন গ্রেফতার-নির্যাতন— প্রতিবাদে মানববন্ধন
কসবা প্রতিনিধি:: ব্রাহ্মণবাড়িযার কসবা উপজেলার কায়েমপুর ইউপির পানিয়ারূপ গ্রামের ও কসবা মহিলা ডিগ্রী কলেজের দ্বাদশ শ্রেণীর মানবিক বিভাগের এক কলেজ ছাত্রীকে (১৮) ঘরে আটকে রেখে গণধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এঘটনায় অভিযুক্ত কসবা পৌর এলাকার শান্তি পাড়া গ্রামের হাজী রৌফ সরকারের ছেলে পৌর কাউন্সিরর কামাল সরকার (৩৭), শীতল পাড়ার পিতা মৃত-ডাক্তার হাবিবুর রহমানের ছেলে জাহঙ্গীর আলম (৪০) ও কাঞ্চনমুড়ি গ্রামের পিতা মৃতু-আব্দুল হাকিম মেম্বারের ছেলে মিজানুর রহমান (৩৬)কে গ্রেফতার করেছে কসবা পুলিশ। বাকি ৩ আসামী পলাতক রয়েছে।
৩ নভেম্বর সোমবার কলেজ ছাত্রী নিজেই বাদী হয়ে কসবা থানায় জোর পূর্বক একাধিক ব্যক্তি দলব্ধভাবে ধর্ষন করার অপরাধ এনে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ৬ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
কলেজ ছাত্রীর মামলার এজাহারে জানা যায়,২৬ অক্টোবর সোমবার রাত ১১টায় লেখা পড়া করে ঘুমাইবার জন্য বিছানায় যাওয়ার সময় সেলিম মিয়া ডাকিয়ে নিয়ে মিজানুর রহমান মুখে চাপ দিয়ে ঘরের মেঝেতে ফেলিয়া পালাক্রমে ধর্ষন করে।
২৭ অক্টোবর জাকির ভুইয়া,নাজমা বেগমের সহযোগিতায় বেলা ১১টায় কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া চিকিৎসা করা হয়। এ ব্যাপারে কসবা থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মহিউদ্দিন জানান, ভিকটিমের স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও উন্নত চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তিন আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে অন্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
কসবা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আরিফুল ইসলাম,কলেজ ছাত্রীর উপর নির্যাতনকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী করে গ্রেফতারকৃত আসামীদের রিমান্ডে এনে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলেন।
কলেজের অধ্যক্ষ তসলিম মিয়া জানান,আমার কলেজের ছাত্রীর উপর নির্যাতনকারীদের শাস্তির দাবী করছি। দুপুরে কসবা মহিলা ডিগ্রী কলেজের সহপাটির নির্যাতনের প্রতিবাদে এক মানববন্ধন করে। মানববন্ধনে সহপাটির নির্যাতনের সুষ্ঠবিচারসহ অপরাধীদের গ্যেফতারের দাবী করেন।
এই দিকে গ্রেফতারকৃত কসবা পৌর কাউন্সিলর কামাল সরকারের পিতা হাজী আব্দু রউফ সরকার ভিন্ন মত প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, অভিযোগকারী বিভিন্ন সময়ে কসবা টিএন্ডটি,গোপীনাথপুর,নতুন বাজারসহ অপতৎপরতা চালিযে বহু ব্যক্তিকে হয়রানী করে আসছে। তিনি ঘটনাটিকে পরিকল্পিত বলে দাবী করেন। আর প্রকৃত অর্থে আমার ছেলে দোষী হলে তাঁর শাস্তির দাবী আমিও করছি ।