কসবায় আইসিটি মামলায় আটক আওয়ামী লীগ নেতা লিটনকে ৭দিনের রিমান্ড চেয়েছেন পুলিশ
খ.ম.হারুনুর রশীদ ঢালী কসবা প্রতিনিধি : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) আইনের ৫৭ ধারার মামলায় মো:মোখলেছুর লিটন (৫০) পিতা-মৃত-ইদন মেম্বার,সাং-কুটি কসবা,ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও কুটি ইউপি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদককে আটক করে পুলিশ। নাম ঠিকানা যাচাই বাচাই,ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের পর মো:মোখলেছুর লিটনকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করে একই সাথে ঘটনার রহস্য উদঘাটনের জন্য সাত দিনের রিমান্ড চেয়েছে।
ঘটনায় প্রকাশ, কসবা উপজেলার কুটি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ছাইদুর রহমান স্বপন ,সাং-কুটি, কসবা,ব্রাহ্মণবাড়িয়া বাদী হয়ে গত ২৬/৪/২০১৮ইং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন ২০০৬ সংশোধনী ২০১৩ইং এর ৫৭ (২) ধারায় কসবা থানায় মামলা নং-৩৯ দায়ের করেন। মামলার আসামী করেন দুই জনকে। অপর আসামী হলেন কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা শ্যামল কুমার রায় ।
গত বুধবার ১৫ মে ভোর ৪টা ৩০মিনিটে কুমিল্লার বাগিচাগাও নিজ ফ্লাট থেকে লিটনকে আটক করা হয়। আটক ব্যক্তির নাম,ঠিকানা যাচাই বাচাই ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তার মোবাইলটি জব্দ করে বৃহম্পতিবার ১৭ মে ২০১৮ইং সকাল ৮টা ১৫ মিনিটে কসবা থানা থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিজ্ঞ হাকিমে আদালতে প্রেরণ করা হয়। এবং একই সাথে ঘটনার রহস্য উদঘাটনের জন্য মো:মোখলেছুর লিটনকে সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে বিজ্ঞ আদালতে আবেদন করেন বলে মামলার তদন্তকারী অফিসার উপ পুলিশ পরির্দশক মোঃ কবির হোসেন কসবা উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি খ.ম.হারুনুর রশীদ ঢালীকে জানান।
বাদীর মামলায় বর্ণিত স্ট্যাটাস গুলি আটককৃত মোঃ মোখলেছুর রহমান লিটনের ফেইজবুক আইডি থেকে আপলোড করা হইয়াছে কি না পরীক্ষা করার জন্য মোবাইল সীম পুলিশ সুপার ফরেনসিক বিভাগ বাংলাদেশ পুলিশ সিআইডি মালিবাগ ঢাকা পাঠানো হয়েছে বলে তদন্তকারী অফিসার মো:কবির হোসেন তাও জানান। কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান আটকের সততা নিশ্চিত করে বলেন; ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপ প্রচারের ঘটনায় কসবা থানায় পাঁচটি ৫৭ ধারার মামলা চলমান রয়েছে।এবং মো:মোখলেছুর লিটনের মোবাইল থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কোন পোস্ট করা হয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
প্রসংগত,আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এমপির ব্যক্তিগত সহকারী এড:রাশেদুল কাউছার ভুইয়া জীবনসহ আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতাদের বিরুদ্ধে ফেসবুকে অপ প্রচার চালানোর অভিযোগে দলীয় নেতাকর্মীরা কসবা থানায় একাধিক মামলা দায়ের করা হয়।