Main Menu

কসবায় আইনমন্ত্রীর এপিএসকে চাকুরির জন্য টাকা প্রস্তাবের অপরাধে মহিলা আটক

+100%-


খ.ম.হারুনুর রশীদ ঢালী : আইনমন্ত্রীর এপিএস এড.রাশেদুল কাওসার ভুঁইয়া জীবনের মোবাইলে গত রোববার (৬ আগষ্ট ২০১৭ইং) ২০.২৭ মিনিটে চার লাইনে ১৭ শব্দের লেখা এক চাকুরীর প্রার্থীর পাঠানো ম্যাসেজের ফলে অবশেষে ঐ রাতেই পুলিশে তাকে আটক করে থানায় মামলা রুজু করার সংবাদ পাওয়া গেছে।

পাঠানো ম্যাসেজে লেখা ছিল “জীবন ভাই চাকুরী জন্য টাকা দিব তবে আমি আপনি আর সালমা আপা জানবে। ভুল হলে ক্ষমা করবেন।” এই ম্যাসেজটি পেয়ে ম্যাসেজকারী আইনমন্ত্রীকে জানিয়ে কসবা থানা ওসিকে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেন।

ওসি মোহাম্মদ মহিউদ্দিন রোববার রাতে কসবা উপজেলা কায়েমপুর ইউপির মইনপুর গ্রামে গিয়ে পুলিশ ফোর্স নিয়ে পিতা মৃতু হাবিবুর রহমানের কন্যা নাহিদা সুলতানা নিপা (২৯) কে আটক করেন।

৭ আগষ্ট সোমবার সকালে কসবা থানার ওসি মোহাম্মদ মহিউদ্দিন জানান; চাকুরির জন্য টাকা প্রস্তাবের অপরাধে তার বিরুদ্ধে ১৬৫ (ক) দঃ বিঃ ধারায় কসবা থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা নং-১২ তারিখ ৭ আগষ্ট সোমবার এবং মামলার বাদী হলেন আইনমন্ত্রীর এপিএস এড.রাশেদুল কাওসার ভুইয়া জীবন।

আটককৃত মহিলা নিপা থানায় জানান,আমি বিএ পাশ করেছি। আমার পরিবারে ৯ ভাই ৬ বোন নিয়ে দু:খ কষ্টে জীবনযাপন করছি। আমার চাকুরী বয়স প্রায় শেষ পর্যায়ে। বর্তমানে ২৯ বছর ১১মাস ৬ দিন অতিক্রম করছে। আমি চাকুরী পাওয়ার আশায় অভাবের যন্ত্রণায় দিশেহারা হয়ে আবেগে আইনমন্ত্রীর এপিএস’র মোবাইলে ম্যাসেজটি পাঠাই। উক্ত ম্যাসেজের শেষ অংশে ভুল হলে ‘ক্ষমা করবেন বলেছি’। কিন্ত এই ম্যাসেজের কারণে আমি পুলিশে গ্রেফতার হব,মামলা হবে, জেলে যাব ভাবতেই পারেনি। তবে ভালোই হয়েছে চাকুরীর চিন্তা করতে হবে না, সংসারের চিন্তা করতে হবে না, বয়সের চলে যাওয়ার কথাও ভাবতে হবে না, জেলে ভালোই থাকবো কান্না কন্ঠে ইত্যাদি বলেছেন।

নিপা আরোও বলেন, আমি দীর্ঘ দিন কসবা উপজেলা মহিলালীগের সাধারণ সম্পাদক সালমা আপার সাথে দলীয় কর্মকান্ডে যুক্ত ছিলাম। একটি চাকুরী পাওয়ার আশার জন্য আবেগের বশত ভুলের অপরাধে আমার পাশে আজ বিপদে কেউ এগিয়ে আসেননি। শেষ কথাটি বলেছেন,ম্যাসেজে ভুল হলে ক্ষমা করবেন লেখার পরও যখন ক্ষমা পেলাম না তখন দু:খ যাদের জীবন গড়া,তাদের আবার দু:খ আর অপমান কিসের?

প্রকাশ থাকে বিগত দিনে চাকুরীর দেওয়ার বিষয়ে আইনমন্ত্রী ও তার এপিএসএর নাম ভাঙ্গিয়ে অনেক প্রতারক টাকা গ্রহণ ও প্রস্তাবের অপরাধে কসবা থানায় বেশ কয়েকটি মামলা দায়ের হয়েছে কিন্ত অবশেষে এই ধরণের দায়েরকৃত মামলা গুলো বিজ্ঞ আদালতে মামলার এজাহার দুর্বল ও টাকা উদ্ধার না থাকায় এবং সাক্ষী প্রমাণের অভাবে অনেক মামলাই প্রতিষ্ঠিত করা যাচ্ছে না এবং এক পর্যায়ে আসামীরা আইনের ফাঁকফোকর দিয়ে জামিনে বের হয়ে আসেন বলে একজন বিজ্ঞ আইনজীবি কসবা উপজেলা প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদেরকে জানান।






Shares