Main Menu

কসবায় বিপুল পরিমান গাঁজাসহ তিন চোরাকারবারী আটক

+100%-

রুবেল আহমেদ : কসবায় অভিযান চালিয়ে ৪ মন ভারতীয় গাঁজা উদ্ধার করেছে পুলিশ। এসময় কাভার্ড ভ্যান চালকসহ তিন চোরাকারবারীকে আটকসহ কাভার্ড ভ্যানটিকেও জব্দ করা হয়।

মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) ভোরে কসবা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মহিউদ্দিনের নেতৃত্বে উপজেলার কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের সৈয়দাবাদ বাসষ্ট্যান্ড থেকে ভাই ভাই ট্রান্সপোর্টের একটি বড় কাভার্ড ভ্যানে তল্লাসী চালিয়ে এসব গাজা উদ্ধার করে পুলিশ।

আটককৃতদের মঙ্গলবার দুপুরে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার উপজেলার কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়ক হয়ে গাজার বড় একটি চালান পাচারের গোপন সংবাদে সৈয়দবাদ বাসষ্ট্যান্ডে অভিযান চালায় পুলিশ। ভোর সাড়ে ৫টার দিকে সৈয়দাবাদ বাসষ্ট্যান্ডে ভাই ভাই ট্রান্সপোর্টের ( ঢাকা মেট্রো-ন ২০-৬১৫৩) বড় একটি কাভার্ড ভ্যান দাড়িয়ে থাকতে দেখে ভ্যানটির চালক ও সাথে থাকা অপর দুজনের গতিবিধি দেখে সন্দেহ হয়। এসময় পুলিশ ভ্যানের ভিতর তল্লাসীর কথা বললে চালকসহ চোরাকারবারীরা গাড়ি থেকে নেমে দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে কসবা থানা পুলিশের দলটি তাদের তিনজনকেই আটক করতে সক্ষম হয়। আটকের পর তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ভ্যানের ভিতর ৯টি পাটের বস্তা ও ৩ কালো বড় ট্রলি ব্যাগের ভিতরে রক্ষিত অবস্থায় ১শত ৬০ কেজি গাঁজা উদ্ধার করে জব্দ করা হয়।

আটককৃতরা হলো কসবা উপজেলার দেলী গ্রামের মৃত খেলু মিয়ার পুত্র জিয়াউর রহমান জিয়া (৩৮) পৌর এলাকার আড়াইবাড়ী গ্রামের রাশেদ আলমের পুত্র শফিকুল ইসলাম (২৯) ও ফুলতলী গ্রামের আলমগীর মিয়ার পুত্র উজ্জল মিয়া ওরফে মহারাজ (৩৬)। আটককৃতদের কসবা থানা উপ-পরিদর্শক মোঃ ফখরুল ইসলাম বাদি হয়ে মাদক আইনে মামলা রুজু করেন।

কসবা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মহিউদ্দিন জানান, জেলা পুলিশ সুপার সাখাওয়াত হোসেনের নির্দেশনায় গোপন সংবাদে গাঁজার বড় একটি চালান আটক করতে সক্ষম হয়েছি। প্রতিনিয়তই মাদক উদ্ধার এবং নির্মুলে কাজ করছে কসবা থানা পুলিশ। আটককৃতদের দুপুরে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। মাদকের বিরুদ্ধে কসবা থানা পুলিশের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে ।






Shares