কসবায় গ্রামবাসীকে সাথে নিয়ে ইফতার করলেন ইঞ্জিনিয়ার কামাল হোসেন



কসবায় গ্রামের মুরব্বি ও সকল শ্রেণী পেশার মানুষজনদের নিয়ে একসাথে ইফতার করলেন উপজেলার নেমতাবাদ গ্রামের কৃতি সন্তান সমাজ সেবক এমকেএম কামাল হোসেন। তিনি পেশায় একজন ইঞ্জিনিয়ার। কর্মজীবনের তাগিদে রাজধানী শহর ঢাকায় পরিবার নিয়ে বসবাস করেন উপজেলার বিনাউটি ইউনিয়নের নেমতাবাদ গ্রামের এই কৃতি সন্তান। মনে চাইলেও কাজের চাপে জন্মস্থানের মানুষগুলোর সাথে একসাথে বসার বা কথা বলার সুযোগ হয়না। তাই এই রমজানে নিজের গোত্রের লোকজন এবং সারা গ্রামের মানুষদের নিয়ে একসাথে ইফতার মাহফিল করার আয়োজন করেছেন তিনি। বৃহস্পতিবার বিকেলে নিজ গ্রামের মানুষ এবং গ্রামের আলেম- ওলামাদের সাথে নিয়ে একসাথে ইফতার করলেন। নিজ বাড়ির মনোরম আঙ্গিনায় ইফতার ও দোয়া মাহফিলে গ্রামের ছোট-বড় আবাল-বৃদ্ধ বনিতাদের উপস্থিতিতে এক মনোমুগ্ধকর পরিবেশ তৈরি হয়। ইফতারের আগে সকলের সাথে কথা বলেন। খোঁজখবর নেন গ্রামের মুরব্বিদের। সকলকে একসাথে দেখে তিনি কিছুটা আবেগ-আপ্লুত হন তিনি।
সকলের উপস্থিতিতে আবেগঘন ভাষায় নিজ পরিবার ও মৃত বাবা- মা ও ভাইয়ের আত্মার মাগফিরাত কামনায় সকলের দোয়া চান ইঞ্জিনিয়ার এমকেএম কামাল হোসেন।
তার নিমন্ত্রণে গ্রামের মানুষজন স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ করেন। সকাল থেকেই বাড়িতে চলতে থাকে বিভিন্ন আয়োজন। ইফতার মাহফিলে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিকসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
ইঞ্জিনিয়ার এমকেএম কামাল হোসেন বলেন, ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার সুবাদে পরিবার নিয়ে ঢাকাতেই বসবাস করতে হয়। মাঝে মাঝে সকলের খোজ খবর নেয়া বা একসাথে বসার ইচ্ছে থাকলেও কর্মজীবনে তেমন একটা ফুরসত মিলেনা। একসাথে ইফতার করার ইচ্ছে ছিলো। মহান রাব্বুল আলামিনের রহমতে নিজের বাড়ি-ঘরের লোকজন ও গ্রামের মানুষদের নিয়ে একসাথে ইফতার করছি। আমার খুব ভালো লাগছে। এসময় তিনি নিজের মৃত বাবা-মা, ভাইসহ সকল কবরবাসী এবং সকল মুসলিম উম্মাহর জন্য দোয়া কামনা করেন।