কসবায় গাঁজাসহ এক চোরাকারবারী আটক। দুটি প্রাইভেটকার জব্দ
কসবা প্রতিনিধি। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় গোপন সংবাদে অভিযান চালিয়ে ৩০ কেজি ভারতীয় গাঁজাসহ এক পাচারকারীকে আটক করেছে কসবা থানা পুলিশ। বৃহস্পতিবার ( ২৬ অক্টোবর) ভোরে কসবা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মহিউদ্দিনের নেতৃত্বে পৌর এলাকার শাহপুর গ্রামের আফছার উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশে একটি বাঁশ বাগানের ভিতর থেকে এসব গাঁজা উদ্ধার করা হয়। এসময় গাঁজা পাচারে ব্যবহৃত দুটি প্রাইভেট কার জব্দ করে পুলিশ। আটককৃত চালক সোহাগ মিয়াসহ পলাতক আরও দুজনের বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, উপজেলার শাহপুর গ্রামে প্রাইভেটকারযোগে গাঁজা পাচারের গোপন সংবাদে অভিযান চালায় পুলিশ। পরে শাহপুর আফছার উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের নতুন ভবনের সাথে বাঁশ বাগানের ভিতর রাখা দুটি প্রাইভেটকার তল্লাশী চালায়। পরে প্রাইভেটকারের ভিতর থেকে ৩০ কেজি গাঁজা উদ্ধার করে। এসময় প্রাইভেটকার চালক সোহাগ মিয়া (৩২) কে আটক করলেও পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আগেই পালিয়ে যায় পাচারে জড়িত আরও দুই পাচারকারী। সোহাগ মিয়া কুটি ইউনিয়নের বিষ্ণুপুর গ্রামের আবদুর রউফ মিয়ার ছেলে। পলাতক আসামীরা হলো, উপজেলার পানিয়ারুপ গ্রামের রঙ্গু মিয়ার ছেলে হুমায়ুন কবির (৩৪) ও মৃত রমজান আলীর ছেলে সাইফুল ইসলাম (১৯)। আটক ও জড়িতদের বিরুদ্ধে কসবা থানা উপ-পরিদর্শক সোহেল সিকদার বাদী হয়ে মাদক আইনে মামলা রুজু করেছেন। অপরদিকে বুধবার (২৫ অক্টোবর) সন্ধ্যায় কসবা- চৌমুহনী সড়কের শাহপুর এলাকায় পাচারকালে এনামুল হোসেন (২০) ও তার স্ত্রী ঝুমু আক্তার (১৮) কে ৪ কেজি গাজাসহ আটক করে পুলিশ। তাদেরকেও বৃহস্পতিবার দুপুরে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
কসবা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মহিউদ্দিন বলেন, জেলা পুলিশ সুপার সাখাওয়াত হোসেনের নির্দেশনায় কসবা থানা পুলিশ মাদক পাচার ও মাদক সেবন প্রতিরোধে প্রতিনিয়ত কাজ করছে। পাশাপাশি মাদকের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতেও কাজ করছে পুলিশ। তারই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার ভোরে শাহপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৩০ কেজি গাঁজা ও দুটি প্রাইভেটকার জব্দ করা হয়েছে। আটককৃত সোহাগ মিয়াকে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। পাচারে জড়িত পলাতক দুজনকেও আটকের চেষ্টা চলছে। এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।