ঘরে আগুন লাগানোর পর আখাউড়ায় মুক্তিযোদ্ধাকে পিটিয়ে জখম
প্রতিনিধি: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় ঘরে আগুন দেওয়ার ১দিন পর এক মুক্তিযোদ্ধা ও তার ছেলেকে পিটিয়ে আহত করেছে মাদক ব্যবসায়ীরা। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার দুপুরে আখাউড়া পৌর শহরের বড় বাজার এলাকায়। এর আগে গত বৃহস্পতিবার সকালে তার বাড়িতে আগুন দেয় তারা। আহতরা হচ্ছেন মুক্তিযোদ্ধা মোঃ ফজলুল হক ও তাঁর ছেলে মোঃ জাকির হোসেন। এ ঘটনায় এক মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে পুলিশ।
এলাকাবাসী ও মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের লোকেরা বলেন, শুক্রবার দুপুরে মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল হকের ছাপড়া ঘরে মাদক ব্যবসায়ী রহিমার নেতৃত্বে তার সহযোগীরা হামলা করে। এ সময় স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলরের হস্তক্ষেপে হামলাকারিরা চলে যান। বিষয়টি জানার পর পুলিশ মাদক ব্যবসায়ী রহিমা বেগমকে আটক করে নিয়ে যায়। পরে দুপুর তিনটার দিকে মাদক ব্যবসায়ীরা দলবদ্ধ হয়ে আবারো মুক্তিযোদ্ধার বাড়িতে হামলা চালায়। এসময় তারা মুক্তিযোদ্ধা ও তার ছেলেকে পিটিয়ে আহত করে। খবর পেয়ে পুনরায় পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে।
এদিকে এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে মুক্তিযোদ্ধার ঘরে আগুন লাগিয়ে দেয় মাদক ব্যবসায়ীরা। চিৎকার শুনে বাজারের লোকজন এসে আগুন নেভায়। মুক্তিযোদ্ধাদের ঘরের পাশেই চিহ্নিত মাদকের আস্তানা। রহিমা বেগম ওরফে রইস্যার মা নামে এক চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী ওই আস্তানা পরিচালনা করে। প্রতিদিনই ওই আস্তানায় গাঁজা ও হেরোইনের আড্ডা চলে।
মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল হকের স্ত্রী অহিদা বেগম বলেন, বৃহস্পতিবার সকালে তাঁরা ঘরের বাইরে কাজ করছিলেন। এ সময় হঠাৎ আগুন দেখে চিৎকার শুরু করলে আশেপাশের লোকজন এসে নেভায়। আগুনে ঘরের এক অংশের বেড়া ও একটি ছোট কাঠের আলমিরা পুড়ে যায়। আলমিরাতে থাকা মুক্তিযোদ্ধার সনদসহ প্রয়োজনীয় অনেক কাগজ, জামা-কাপড় ও নগদ পাঁচ হাজার টাকা পুড়ে গেছে। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। গতকাল শুক্রবার দুপুরে আবারো তারা আমাদের বাড়িতে হামলা করে আমার স্বামী ও ছেলেকে মারধোর করে। তিনি বলেন, আগুন দেওয়ার ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে থানায় মামলা করেছি।
এ ব্যাপারে আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অং সা থোয়াই বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। আমরা একজনকে আটক করেছি। বাকীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
এ ব্যাপারে পুলিশ সুপার মোঃ মনিরুজ্জামান পিপিএম’র সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ঘটনাটি সম্পর্কে তিনি অবগত আছেন। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।