৩৩১ কোটি টাকা ব্যয়ে ত্রিপুরার আগরতলা থেকে বাংলাদেশের আখাউড়া পর্যন্ত রেল লাইন
ডেস্ক: ৩৩১ কোটি টাকা ব্যয়ে ত্রিপুরার আগরতলা থেকে বাংলাদেশের আখাউড়া পর্যন্ত ১৫ কিলোমিটার রেল লাইন বসানোর কাজ হাতে নিয়েছে ইন্ডিয়ান রেল কন্সট্রাকশন কোম্পানি ইরকন৷ ১৫ কিলোমিটারের মধ্যে ৫ কিলোমিটার ভারতে এবং ১০ কিলোমিটার বাংলাদেশে৷ নতুন রেল লাইন বসিয়ে ত্রিপুরার দক্ষিণতম সীমান্ত শহর সাব্রুমকে যুক্ত করা হবে চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক সমুদ্র বন্দরের সঙ্গে৷ ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে রেল সংযোগ সম্প্রসারিত করতে বিভিন্ন উদ্যোগ হাতে নেয়া হচ্ছে, যাতে দু’দেশের জনসাধারণের মধ্যে নৈকট্য আরও নিবিড় করা যায়৷ সেই লক্ষ্যে আর্থিক, কারিগরি, অপারেশনাল এবং অবকাঠামোর উন্নতির কাজ হাতে নেয়া হয়৷ পশ্চিমবঙ্গ ও আসামের মধ্যে ৭/৮টি পুরানো রেল লাইন আছে, তারমধ্যে মাত্র চারটি পুনরুদ্ধার করার পরিকল্পানাও রয়েছে৷ এই চারটি হলো: চিলাহাটি-হলদিবাড়ি, বিরল-রাধিকাপুর, আখাউড়া-আগরতলা এবং শাহবাজপুর-মহিষাসন৷ এবার ভারতে তৈরি ট্রেনের ইঞ্জিন, কামরা, তেলের ট্যাংকারও চলবে বাংলাদেশে৷ পশ্চিমবঙ্গের রেল প্রতিমন্ত্রী অধীর চৌধুরী জানান, এজন্য বাংলাদেশকে এক হাজার কোটি টাকা ঋণ দেবার চুক্তি হয়েছে৷ সেই টাকা দিয়ে ভারত থেকে রেল ইঞ্জিন, ওয়াগন, যাত্রী কামরা এবং ট্যাংকার কিনবে বাংলাদেশ৷ এবং এই কাজ শুরু হয়ে গেছে বলেও জানান তিনি। রেল মন্ত্রণালয়ের সূত্রে বলা হয়, এতে লাভবান হবে দু’দেশই৷ ইঞ্জিন, কামরা, ওয়াগন একই প্রযুক্তির হলে দ্রুত যাত্রী ও মাল পরিবহণের সময় ও খরচের অনেক সাশ্রয় হবে৷ ভারত থেকে নিয়ে আসা হচ্ছে ১২৬টি ট্যাংকার, ৭০টি আধুনিক কামরা এবং ২১টি ইঞ্জিন৷ রেল প্রতিমন্ত্রী অধীর চৌধুরি জানান, ঐসব ইঞ্জিন তৈরি হয়েছে রেলের বারানসী কারখানায়৷ সেগুলি শিয়ালদহ ডিভিশনে আনা হচ্ছে৷ মৈত্রী এক্সপ্রেসের কামরা আরও উন্নত করা হচ্ছে৷ দুই বাংলার মধ্যে চলাচলকারী মৈত্রী এক্সপ্রেসের যাত্রার সময় কম করতে কাস্টমস ও অন্যান্য কাগজপত্র পরীক্ষার কাজ ট্রেনের মধ্যেই করা হবে৷ মৈত্রী এক্সপ্রেসের সংখ্যা বাড়ানো হবে এবং রিটার্ন জার্নির টিকিট দেয়া হবে৷ তবে তিস্তা চুক্তি এবং ছিটমহল বিনিময় সম্পূর্ণ হলে দুই বাংলার যোগাযোগ ব্যবস্থায় আসবে বিপ্লব, জানান রেল প্রতিমন্ত্রী৷ |