বিয়ের ৪ দিন পর নববধূ খুন, ভারতে পালানোর সময় গ্রেপ্তার স্বামী



আখাউড়ায় নববধূকে গলা কেটে চাঞ্চল্যকর হত্যাকাণ্ডের ১২ ঘণ্টার মধ্যে প্রধান আসামি স্বামী আবদুল হামিদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে আখাউড়া উপজেলার বড়মুড়া সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও আখাউড়া থানা পুলিশ হামিদকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারকৃত আবদুল হামিদ (২৮) উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়নের হিরাপুর গ্রামের মৃত আব্দুল লতিফের ছেলে।
আখাউড়া থানা পুলিশ জানায়, গত শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) আখাউড়া উপজেলার হীরাপুর গ্রামের আব্দুল লতিফ মিয়ার সৌদিআরব ফেরত ছেলে আব্দুল হামিদের সঙ্গে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার বাসুদেব এলাকার আব্দুর রাজ্জাক মিয়ার মেয়ে তাসলিমার বিয়ে হয়। পরে বিয়ের মাত্র ৪ দিন পর মঙ্গলবার দুপুরে ধারালো ছুরি দিয়ে নববধূ তাসলিমাকে গলা কেটে হত্যা করে হামিদ পালিয়ে যান। এ ঘটনায় নিহত তাসলিমার ভাই আব্দুল কুদ্দুস রাতেই বাদী হয়ে আব্দুল হামিদকে প্রধান আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এ বিষয়ে আখাউড়া থানার ওসি নূরে আলম জানান, ঘটনার পর পালিয়ে যাওয়া হামিদকে দ্রুত গ্রেফতারের জন্য মোবাইল ট্রাকিং করে একাধিক স্থানে অভিযান পরিচালনা করা হয়। হামিদ বারবার স্থান পরিবর্তন করতে থাকে। পরে বুধবার সকালে আখাউড়া সীমান্তের বড়মুড়া এলাকা দিয়ে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টাকালে ফকিরমুড়া বিজিবি ক্যাম্পের সদস্যদের সহযোগিতায় হামিদকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। তবে কি কারণে হত্যাকান্ড ঘটেছে এ রহস্য উদঘাটনে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে বলে জানিয়েছেন ওসি।