বিজয়নগর ইউপি নির্বাচন:: সাজানো মামলা, ভয়ভীতি, হুমকি প্রদর্শন ও নির্বাচনী কর্মকান্ডে বাধা প্রদানের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে জেলা বিএনপি
ধাপে ধাপে অনুষ্ঠিত চলমান ভোট ডাকাতির মহোৎসব ও সীল মারার প্রহসনের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের এই পর্যায়ে ৭ মে ব্রাহ্মণাবাড়িয়া বিজয়নগর উপজেলার ১০ টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
বর্তমান ফ্যাসিস্ট, একদলীয়, বাকশালী ক্ষমতাসীন সরকার চলমান ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের মাধ্যমে গোটা নির্বাচনী ব্যবস্থাকে তছনছ করে দিয়েছে। নির্বাচন ব্যবস্থা আজ শুধু প্রশ্নবিদ্ধই নয় বরং গুলিবিদ্ধও বলা চলে। পূর্বের ন্যয় ঐ একই কায়দায় অর্থাৎ শাসক দলের প্রার্থীরা নির্বাচনী আচরনবীধি চরমভাবে লঙ্ঘন করে, মিছিল-মিটিং করছে। অপরদিকে বিএনপি মনোনিত ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থীদের প্রশাসনকে ব্যবহার করে হুমকি-ধামকি ভয়ভীতি প্রদর্শন করে সরকার দলীয় প্রার্থীর পক্ষে এক তরফা সুযোগ সৃষ্টি করার জন্য প্রতিটি ইউনিয়নে নিবেদিত ও দায়িত্বশীল নেতাকর্মীদের ঘরে ঘরে পুলিশি তল্লাশীর নামে আতঙ্ক সৃষ্টি করে ঘর ছাড়া করা হচ্ছে। এর সাথে বিজয়নগরে এবার নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে পরিকল্পিত ও সাজানোভাবে নির্বাচনী অফিসে আগুন লাগানো এবং এই পরিকল্পিত আগুন লাগানোর মামলায় উদুর পিন্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপানোর মত প্রতিপক্ষের প্রার্থীকে প্রধান আসামী করে মামলা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে জেলা বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল এই সকল অন্যায়, অত্যাচার ও নিপীড়নের ঘটনা জেলা প্রশাসককে অবহিত করেছে।
সবশেষে অবাধ, সুষ্ঠ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণভাবে “যার ভোট সে দেবে” এমন নির্বাচনী লেভেল প্লেইং ফিল্ড তৈরী করার পাশাপাশি নির্বাচনী দায়িত্বে নিয়োজিতদের নিরপেক্ষ ভাবে দায়িত্ব পালন সুনিশ্চিত করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জুরালো আহ্বানা জানানোর পাশাপাশি প্রশাসন ও শাসকদলের সকল অত্যাচার ও অনৈতিক কর্মকান্ড বন্ধ করণ ও মিথ্যা, বানোয়াট, ফরমায়েশী, রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রনোদিত ও সাজানো মামলায় হয়রানির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দেন, জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র আলহাজ্ব হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি ও সাধারণ সম্পাদক মো: জহিরুল হক খোকন জহির।প্রেস রিলিজ