ইউপি নির্বাচন::বিজয়নগরের নির্বাচনী ফলাফল বাতিল করে পুনরায় নির্বাচনের দাবী জানিয়েছে জেলা বিএনপি



ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র আলহাজ্ব হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি ও সাধারণ সম্পাদক মো: জহিরুল হক খোকন জহির গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলেন, প্রহসন, ভোট ডাকাতির নির্বাচন ও সীল মারার মহোৎসবের মাধ্যমে চর দখলের মত গোটা বিজয়নগর উপজেলায় বিএনপি মনোনীত ধানের শীষ প্রতীকে জনপ্রিয় প্রার্থীদের নিশ্চিত বিজয়কে বাকশালী সন্ত্রাসী কায়দায় ছিনিয়ে নেওয়ার জন্য বিজয়নগর বাসীর কাছে দিবসটি লজ্জাস্কর কালোদিবস হিসেবে ঘৃণার সাথে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, বিজয়নগরের দশটি ইউনিয়নের প্রতিটি কেন্দ্রেই আমাদের দলীয় প্রার্থীর নির্বাচনী এজেন্ট ছিল কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য নির্বাচন শুরু হয় সকাল ৮ টায়, ভোট শুরু হওয়ার পর পরই প্রায় প্রতিটি কেন্দ্র থেকেই নির্বাচন পর্যবেক্ষন দায়িত্বে নিয়োজিত জেলা নেতৃবৃন্দের নিকট অবিরত অভিযোগ আসতে থাকে। কোথাও এজেন্টদের ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না, কোথাও এজেন্টদের দায়িত্ব পালনে বাধা দেয়া হচ্ছে, কোথাও সশস্ত্র সন্ত্রাস, ককটেল বোমাবাজি করে এজেন্টদের এমনকি কোথাও কোথাও প্রার্থীকেও মারধর করে কেন্দ্র থেকে বের করে গণহারে ব্যালটে সীল মারা হচ্ছে। যা গোটা বিজয়নগর উপজেলাবাসী স্বচক্ষে প্রত্যক্ষ করেছে।
সকল অনিয়ম ও অভিযোগ কেন্দ্র সমূহে নিয়োজিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানালে, অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ না করে বরং উল্টা অভিযোগকারীকেই গ্রেফতারের হুমকি দিয়ে তাড়িয়ে দেয়া হয়। প্রিজাইডিং অফিসারদের লিখিত অভিযোগ গ্রহণ করতে বললে, ব্যবস্থা গ্রহণ দূরের কথা অভিযোগ গ্রহণ করতে পর্যন্ত অপারগতা প্রকাশ করে। অর্থাৎ স্থানীয় শাসকদলের সন্ত্রাসী কায়দায় একতরফা ভোট ডাকাতির গোটা বাস্তবায়ন প্রশাসনের নাকের ডগায় হলেও প্রশাসন ছিল সম্পূর্ণ নির্লিপ্ত ও নির্বিকার এবং কোথাও কোথাও রক্ষক হয়ে বক্ষকের ভূমিকা পালন করেছে তারা। নির্বাচনী পূর্ব কিছু কিছু এলাকায় পাতানো সাজানো, আগুন লাগানোর মামলায় বিএনপি দলীয় প্রার্থীদের প্রধান আসামী করে মামলা দায়ের এবং সমস্ত অনিয়মের চিত্র তুলে ধরে প্রশাসনকে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের অভিযোগ ও আশঙ্কা এই ভোট ডাকাতি ও সন্ত্রাসী কায়দায় সীল মারার মহোৎসবের নির্বাচনের মাধ্যমে শতভাগ সত্য প্রমানিত হল।
সবশেষে নেতৃবৃন্দ নির্বাচনে হাস্যকর ও পাতানো ফলাফলকে বাতিল করে পুনরায় অবাধ সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জোর দাবি জানান।প্রেস রিলিজ