হাসনাতের খোঁজ নিলেন রুমিন ফারহানা, পাঠালেন উপহার
জাতীয় নাগরিক পার্টির মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আসার পর তার খোঁজ-খবর নিয়েছেন বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা। এছাড়া তিনি কিছু উপহার পাঠিয়েছেন বলেও জানিয়েছেন হাসনাত।
শনিবার (৩০ আগস্ট) রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরের ছতরপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ‘উঠানে নতুন সংবিধান’ শীর্ষক এক বৈঠকে হাসনাত নিজেই উপস্থিত জনসাধারণকে এ কথা জানান। এ বৈঠকের আয়োজন করে জাতীয় নাগরিক পার্টির বিজয়নগর উপজেলা কমিটি।
হাসনাত তার বক্তব্যে বলেন, ‘রুমিন ফারহানার সঙ্গে আমাদের একটা মনোমালিন্য হয়েছে। আমরা এসেছি- উনি ওনার লোক পাঠিয়েছেন যে আমাদের এখানে কোনো সমস্যা হচ্ছে কিনা। আমাদের জন্য উনি কিছু উপহার পাঠিয়েছেন। এটা আমাদের জন্য পজিটিভ বার্তা। আমাদের অবশ্যই ওয়েলকাম জানানো উচিত।’
হাসনাত আব্দুল্লাহ আরও বলেন, ‘আমাদের মধ্যে ভিন্নমত থাকবে, ভিন্নমত হচ্ছে গণতন্ত্রের শক্তি। অন্যদিকে সহিংসতা হচ্ছে গণতন্ত্রের শত্রু। কেউ আমাদের আক্রোশমূলক কথা বললে আমরা গণতান্ত্রিকভাবে তার জবাব দেব। কেউ যদি আমাদের ইতিবাচক বার্তা দেয় আমাদের অবশ্যই গ্রহণ করা উচিত।’
সম্প্রতি নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর ও বিজয়নগর) আসনের সীমানা পুনর্বিন্যাস নিয়ে অনুষ্ঠিত শুনানিতে দুই পক্ষের হাতাহাতির ঘটনার জেরে হাসনাত আবদুল্লাহর সঙ্গে মনোমালিন্য হয় রুমিন ফারহানার।
বৈঠকে নির্বাচন ও সংস্কারের প্রসঙ্গও তোলেন এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ। তিনি বলেন, ‘শুধু নির্বাচন নয়, সংস্কার এবং বিচারও প্রয়োজন। এজন্য আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।’
নুরুল হক নুরের ওপর হামলার প্রসঙ্গ টেনে তিনি আরও বলেন, ‘এই ঘটনা আমাদের জন্য একটি বার্তা। আমরা দেখেছি অতীতে তারেক রহমানকেও মুচলেকা দিয়ে দেশ ছাড়তে হয়েছিল।’
এ সময় আরও বক্তব্য দেন এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব এস. এম. সাইফ মোস্তাফিজ, যুগ্ম মুখ্য সংগঠক মো. আতাউল্লাহ, ডা. মাহমুদা মিতা এবং উপজেলা কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী আমিনুল হক চৌধুরী।































