বিজয়নগরে সড়ক দূর্ঘটনা : বাস মালিক ও চালককে আসামী করে মামলা, বাসের গতি ছিল বেশি



ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলায় যাত্রীবাহী বাস ও মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে ছয়জন নিহতের ঘটনায় মামলা করা হয়েছে।
শনিবার রাত ৮টার দিকে বিজয়নগর থানায় মামলাটি করেন খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) প্রেমধন মজুমদার। মামলায় বাসের মালিক (অজ্ঞাত) ও চালককে (অজ্ঞাত) আসামি করা হয়েছে। বিজয়নগর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আতিকুর রহমান মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।মামলার বাদী এসআই প্রেমধন মজুমদার বলেন, বাসের যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানতে পেরেছি বাসের গতি বেশি এবং ডান দিকে বেশি চাপিয়ে চলছিল। আর পরিবহন আইন অনুযায়ী বাসের বক্সে পরিবহনের মালামাল নেয়া যাবে না। কিন্তু বাসের বক্সে অতিরিক্ত মালামাল রাখা হয়েছিল। এগুলো আমরা এজহারে উল্লেখ করেছি।
এর আগে শুক্রবার (৬ মার্চ) ভোররাতে বিজয়নগর উপজেলার রামপুর এলাকার ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে সিলেটগামী একটি মাইক্রোবাসের সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসা লিমন পরিবহনের ঢাকাগামী একটি যাত্রীবাহী বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ সময় বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মহাসড়কের পাশে খাদে পড়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে মাইক্রোবাসের গ্যাস সিলিন্ডার থেকে গ্যাস বের হয়ে আগুন ধরে যায়। এতে মাইক্রোবাসে থাকা ১০ আরোহীর মধ্যে ছয়জন মারা যান। এরা হলেন সাগর (২২), সোহান (২০), রিফাত (১৬), ইমন (১৯), শাকিল (২৫) ও হারুণ (৪০)। এদের মধ্যে পাঁচজনই অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যান। এ ঘটনায় আহত বাকি চারজনকে প্রথমে জেলা সদর হাসপাতাল ও পরে ঢাকায় পাঠানো হয়। হাতহতরা নারায়ণগঞ্জ থেকে সিলেটের হযরত শাহজালাল (র.) এর মাজার জিয়ারত করতে যাচ্ছিল। তাদের সবার বাড়ি নারায়ণগঞ্জে বন্দর থানার বিভিন্ন এলাকায়।