Main Menu

চলন্ত ট্রেনের ছাদে ছিনতাইকারীর সঙ্গে ধ্বস্তাধস্তি, হলো না শেষ রক্ষা

[Web-Dorado_Zoom]

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার মুকুন্দপুর স্টেশন এলাকায় রেজাউল করিম নামে এক পল্লী বিদ্যুৎকর্মীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকালে রেললাইনের পাশে অচেতন অবস্থায় একজনকে পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। দ্রুত উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

রেজাউল করিম ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার কাইয়ুমপুর ইউনিয়নের মইনপুর গ্রামের জুরু মিয়ার ছেলে ও কুমিল্লার পদুয়ার বাজার পল্লী বিদ্যুতে কর্মরত ছিলেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে শ্রীমঙ্গলে যাওয়ার উদ্দেশে কুমিল্লা থেকে উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেনে উঠেন রেজাউল, তার সহকর্মী রিফাত মিয়াসহ ৩ জন। তবে, ট্রেনের ভেতরে টিকেট না পেয়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে ছাদে যাত্রা করেন তারা। ট্রেনটি আখাউড়া স্টেশন অতিক্রম করার পর সংঘবদ্ধ ১০ থেকে ১২ জনের একটি ছিনতাইকারী দল তাদের ওপর হামলা চালায়। ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে রেজাউল ট্রেন থেকে নিচে পড়ে মারা যান।

রেজাউলের সহকর্মী রিফাত মিয়া জানান, আখাউড়া স্টেশন অতিক্রম করার আগে লোকগুলো (ছিনতাইকারীরা) ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ছিল। আখাউড়া স্টেশন ছাড়ার পর সবাই একসঙ্গে হয়ে আমাদের ওপর আক্রমণ করে। আমাদের একেক জনকে ওরা ৩-৪ জন জাপটে ধরে, ছুরি দিয়ে ভয় দেখায়। ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে রেজাউল ভাই ট্রেনের ছাদ থেকে নিচে পড়ে যান। পরে শায়েস্তাগঞ্জ স্টেশনে ট্রেনটি থামালে ছিনতাইকারীরা পালিয়ে যান। ধ্বস্তাধস্তিতে আমরাও আহত হই। পরের স্টেশন শ্রীমঙ্গলে নেমে রেলওয়ে পুলিশের সহায়তা চাই। রেজাউল ভাইর নম্বরে যোগাযোগ করলে একজন রিসিভ করে জানায়, সে মারা গেছে।

আখাউড়া রেলওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এস এম সফিকুল ইসলাম বলেন, ‘‘মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’






Shares