কেন্দ্র দখল, ব্যালট পেপার ছিনতাই, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারকে মারধোর, প্রকাশ্যে ভোট প্রদান, বাঞ্ছারামপুর ও আশুগঞ্জে আহত ৩০
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ ও বাঞ্ছারামপুরে ইউপি নির্বাচন চলাকালে সংঘর্ষে অন্তত ৩০জন আহত হয়েছে। এদিকে কেন্দ্র দখল, ব্যালট পেপার ছিনতাই, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারকে মারধোর, প্রকাশ্যে ভোট প্রদান, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার মধ্য দিয়ে ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। বাঞ্ছারামপুরে উপজেলার সলিমাবাদ ইউনিয়নে সাতবিলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে সকাল সোয়া ১১টায় জাল ভোট দেয়া নিয়ে দুই ইউপি সদস্যের সমর্থকরা দেশীয় অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।
ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার এক পর্যায়ে ব্যালট পেপার, ৪টি ব্যালট বাক্স ছিনতাই করে নিয়ে যায়। এসময় তাদের হামলায় পোলিং অফিসার হেলাল উদ্দিন আহাম্মদ সহ ৫ জন আহত হয়। প্রায় ১ ঘন্টা ভোট গ্রহণ স্থগিত ছিল। প্রিজাইডিং অফিসার মোঃ ফজলুল হক কেন্দ্রে হামলার সত্যতা স্বীকার করেন। একই ইউনিয়নের হোসেনপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে জাল ভোট দেয়া কে কেন্দ্র ইউপি সদস্য প্রার্থীর মধ্যে দু’পক্ষের সংঘর্ষে কমপক্ষে ৫ জন আহত হয়। গুরুতর আহত মহিউদ্দিন (২৩) কে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। তেজখালী ইউনিয়নের হাসননগর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ২ ইউপি সদস্য প্রার্থীর মধ্যে সংঘর্ষে ৩ জন টেঁটাবিদ্ধসহ ৫ জন আহত হয়। টেঁটাবিদ্ধ শাহ আলম (৫০), মোহাম্মদ আলী (৪৫) ও রতন মিয়া (৪২) কে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
ফরদাবাদ ইউনিয়নে গাওরালতুলি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দুই ইউপি সদস্য প্রার্থীর মধ্যে সংঘর্ষে ৬ জন আহত হয়। বাঞ্ছারামপুরে ইউপি নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ এনে স্থানীয় বিষ্ণুরামপুর বাজারে বিএনপি’র মনোনীত ৬ চেয়ারম্যান প্রার্থী সাংবাদিক সম্মেলনে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন। সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক এমপি এম. এ. খালেক উপস্থিত ছিলেন। বর্জনকারী চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হচ্ছেন সলিমাবাদ ইউনিয়নের বিল্লল হোসেন, মানিকপুর ইউনিয়নের বজলুলহক, ফরদাবাদ ইউনিয়নের সালাহ উদ্দিন, দরিকান্দি ইউনিয়নের আবদুল করিম ও রূপসদি ইউনিয়নের দেলোয়ার হোসেন। এদিকে আশুগঞ্জের দক্ষিণ সোহাগপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্র থেকে ব্যালট পেপার ছিনতাই’র ঘটনা ঘটে। এসময় সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার শিউলী পারভীন আহত হন। এ ঘটনায় প্রায় ১ ঘন্টা ভোট গ্রহণ বন্ধ থাকে। এদিকে বেশ কয়েকটি কেন্দ্রে জাল ভোট দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সকালে আড়াইসিধা ইউনিয়নের আ’লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী কামরুল হাসান মোবারক জানান, মাত্র ১ ঘন্টায় ১৯’শ ভোট জাল ভোট দেয়া হয়েছে। তিনি কারচুপির অভিযোগ এনে নির্বাচন বর্জন করে বিক্ষোভ করেন। এদিকে তারুয়া ইউনিয়নে আ’লীগ বিদ্রোহী প্রার্থী বাদল সাদির ও দুর্গারামপুর ইউনিয়নে বিএনপি প্রার্থী মিজান খাঁ নির্বাচন বর্জন করে পুনরায় নির্বাচনের দাবী জানান।